বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ঢাবি নাট্যকলা বিভাগে নিয়োগ!

November 27, 2018 | 8:06 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ (নাট্যকলা) বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

গত বছর এই বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিয়োগ বোর্ড একজনকে নিয়োগের সুপারিশ করলে হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে আদালত নিয়োগ স্থগিত রাখার আদেশ দেন। পরে একই পদে এ বছর ফের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একজন প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ফের ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই পদটি শূন্য রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।

জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বোর্ড বসে। বোর্ডের সভাপতি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। বোর্ডে কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন ও বিভাগের চেয়ারম্যান আহমেদুল কবিরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বোর্ড বিভাগের প্রভাষক কাজী তামান্না হক সিগমাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, একই পদের জন্য গত বছরের ১৮ অক্টোবর সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ওই নিয়োগের জন্য একটি বোর্ড বসে। ওই বোর্ডে সাইদুর রহমান নামে একজনকে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে সুপারিশ করা হয়। জানা গেছে, তার স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি ছিল না। ওই নিয়োগ সুপারিশের বিপক্ষে সৈয়দ মামুন রেজা নামে একজন উচ্চ আদালতে রিট করেন (রিট নম্বর ৪৩০৮)। রিটের শুনানিতে আদলত গত ২৭ মার্চ ওই নিয়োগ স্থগিত রাখার আদেশ দেন।

এরপর একই পদে নিয়োগের জন্য এ বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ফের পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর বোর্ড তামান্না হক সিগমাকে নিয়োগের সুপারিশ করে।

তবে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আগে রিটের শুনানি নিয়ে নাট্যকলা বিভাগের ওই পদ শূন্য রাখার নির্দেশ দেন। ঢাবি উপাচার্য, উপউপাচর্য, নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রিটের শুনানি শেষে রায় না হওয়া পর্যন্ত ওই পদটি শূন্য রাখার নির্দেশনা দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে রিটকারী মামুন রেজার আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সারাবাংলাকে বলেন, প্রথমবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একজন কম যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগের চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালত সেই প্রক্রিয়াটি স্থগিত করেছিলেন। পরে নাট্যকলা বিভাগ থেকে বিচারাধীন অবস্থাতেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগের জন্য একজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে নিয়োগ দিতে পারে না।

ব্যারিস্টার নাজমুল আরও বলেন, আজ (মঙ্গলবার) শুনানি নিয়ে আদালত এই মামলার চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত নাট্যকলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপকের ওই পদ শূন্য রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, তিনি এ বিষয়টি জানেন না।

সারাবাংলা/কেকে/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন