বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের মাঠে প্রার্থীর দলীয় পরিচয় মুখ্য নয় : সিইসি

November 29, 2018 | 10:53 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : একজন প্রার্থী যখন নির্বাচনের মাঠে নামবেন তখন তাকে কেবল একজন প্রার্থী হিসেবে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, প্রার্থীকে প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, যারা প্রার্থী তাদের পরিচয়, তারা শুধুই প্রার্থী। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা ব্যক্তি পরিচয় থাকবে না। তিনি একটি প্রতীকের প্রার্থী হবেন। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ রাখার জন্যও নির্দেশনা দেন সিইসি।

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, এখন বিশ্বাস করার সুযোগ ও সময় এসেছে যে, এদেশে যারা রাজনীতি করেন বা যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তারা নির্বাচনের আইন, আচরণবিধি মেনে মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে সহযোগিতা করবেন। আমি বিশ্বাস করি এবং আস্থা রাখি সে রকম একটা পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকে সামনে রেখে আপনাদের দায়িত্ব হবে প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের জানানো এবং বোঝানো।

তিনি বলেন, আমরা যেটা আশা করেছিলাম যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, আমাদের সে আশা পূর্ণ হয়েছে। আশা করেছিলাম প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, সে প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে, সেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি অনেক প্রভাবশালী প্রার্থী তারা রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে আবেদন জমা দিয়েছেন। প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোক ভেতরে গেলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, কেউ সেটি লঙ্ঘন করেনি। তারা চারজন, পাঁচজন, ছয়জন, সাতজনের বেশি লোক নিয়ে ভেতরে ঢোকেনি। বাইরে হয়তো তাদের কিছু সমর্থক এসেছিল। সেটা অফিসের বাইরে। একজন প্রার্থীর সমর্থক থাকতেই পারে। সেগুলো মোটর শোভাযাত্রা, গাড়িসহ যাত্রা বা শোডাউনের পর্যায়ে পড়ে না।

বিজ্ঞাপন

প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে। যারা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন তারা মাঠে গিয়ে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বপালন করলে নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে, অবশ্যই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, অবশ্যই নির্বাচনে ভোটারদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি, আশা করি।

সারাবাংলা/ জিএস/এসএমএন/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন