মানিকগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করায় ইসিতে অভিযোগ

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর সঠিক নয় উল্লেখ করে মানিকগঞ্জের তিনটি আসনের সবগুলো থেকে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার।

নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠনো মির্জা ফখরুল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক দলীয় মনোনয়নপত্রে আমার প্রদত্ত স্বাক্ষর গ্রহণ করছেন না। যা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছি যে—মানিকগঞ্জ জেলার প্রতিটি আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র প্রার্থীরা আমরা সুপরিচিত এবং আমি নিজে তাদের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছি। এ বিষয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। আমার স্বাক্ষর গ্রহণ করার জন্য মানিকগঞ্জসহ সকল জেলা প্রশাসককে তড়িৎ নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানচ্ছি।’

এ ব্যাপারে বিজয় কান্তি সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মির্জা ফখরুল সাহেবের স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনটি আসনের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন। এ বিষয়ে আমরা যোগাযোগ করেছি এবং মির্জা ফখরুলও নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করেছেন এটা তার স্বাক্ষর। যাতে এর জন্য প্রার্থীদের হয়রানি না করা হয় এবং মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়।’

এ ব্যাপারে ইসি সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের জানিয়েছেন যেহেতু কথা বলার আগেই ডিসি সাহেব মনোনয়ন বাতিল করেছেন এখন তার পক্ষে এটি গ্রহণ করার সুযোগ নেই।’

‘এটা খুবই একটা নির্মম ঘটনা। ৬৪ জেলায় কেউই প্রশ্ন তুলল না। মহাসচিব সাতশ-এর বেশি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সেখানে একটু এদিক সেদিক হতে পারে। কনফার্ম করার পরও এটি বাতিল করা হলো। তারা এখন আপিল করবেন। এবং আপিল হয়তো গৃহিতও হবে। কিন্তু এভাবে সারবত্তাহীন কারণে কারও মনোনয়ন বাতিল করা যায় না। নির্বাচন আইনেও বলা হয়েছে এ সকল সারবত্তাহীন কোনো অভিযোগের কারণে বা কোনো কফিউশনের কারণে কাউকে যেন নির্বাচনের প্রার্থীতা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। মানিকগঞ্জের ডিসি কেন এমন আচরণ করলেন এটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরা আশা করছি আপিলের মাধ্যমে তাদের মনোনয়ন গৃহিত হবে।’

এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কমিশনের কাছে কোনো অভিযোগ করিনি। আমরা বলেছি যাতে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।’

সারাবাংলা/জিএস/এমআই