বিজ্ঞাপন

উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবি, জাবিতে ছাত্রজোটের অবরোধ

December 3, 2018 | 3:52 pm

।। জাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া ‘বিভাগ উন্নয়ন ফি’ বাতিলের দাবিতে নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) নেতাকর্মীরা অবরোধ শুরু করেন। এতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে অনলাইনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র জমা দেওয়া কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। পরে ভর্তি নিশ্চিতকরণ কার্যক্রম রেজিস্ট্রর অফিসের শিক্ষা শাখার পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে ডিন অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ প্রতিবেদন লেখা (দুপুর ১টা) পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনটিতে প্রবেশ করতে না পেরে আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রতি বছর বিভাগগুলো উন্নয়নের নামে প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে উন্নয়ন ফি নিচ্ছে। অথচ বিভাগ উন্নয়নের দায় শিক্ষার্থীদের নয়, রাষ্ট্রের। আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভাগ উন্নয়ন ফি নেওয়া বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। তারপরও এটা চালু রয়েছে। এমনকি কোনো কোনো বিভাগ এবার উন্নয়ন ফি বাড়িয়েছে।

এদিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের অবরোধের পরে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে অনুষদ ডিন ও বিভাগীয় সভাপতিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্নাতকোত্তরে বিভাগ উন্নয়ন ফি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার। তিনি বলেন, ‘স্নাতকে (সম্মান) বিভাগ উন্নয়ন ফি বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।’

বিজ্ঞাপন

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীদেরকে অবরোধ প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছি। তবে তারা বলছে, তাদের দাবি মানা না হলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করবে না। পরে আমরা ডিন ও বিভাগীয় সভাপতিদের সাথে আলোচনায় বসেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্নাতকোত্তরে বিভাগ উন্নয়ন ফি নেওয়া যাবে না। আর আমরা সংশোধিত বাজেটে রাষ্ট্রের কাছে বিভাগ উন্নয়নের অর্থ চাইবো। পরবর্তী বছরে যাতে রাষ্ট্র বিভাগ উন্নয়নের অর্থ দেয় সে চেষ্টাও করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধের কারণে ডিন অফিসে শিক্ষা শাখার প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। ডিন অফিসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে চূড়ান্ত মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চলে। আজ সোমবার থেকে অনলাইনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন