বিজ্ঞাপন

শহরে ৫৪ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার

November 30, 2017 | 3:34 pm

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের শহরগুলোয় ৫৪ শতাংশ নারী সহিংসতার স্বীকার বলে প্রতিবেদন দিয়েছে অ্যাকশনএইড। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একশনএইড এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এই নারীরা আইন বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে খুব বেশি সহযোগিতা পান না। এদেশের শহরগুলো নারীবান্ধব নয়।তাই নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে নেপাল, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, জর্ডান, ব্রাজিল এবং জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোর থেকে খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের। উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড-এর গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণা চালানো ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার হার বেশি, নগরে নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে আছে। নারীর প্রতি সহিংসতা, আইনের বাস্তবায়ন না হওয়া, জেন্ডারবান্ধব নগর পরিকল্পনার অভাব, নারী ও মেয়ে শিশুর জন্য সীমিত ও অনিরাপদ গণপরিবহণের কারণে বাংলাদেশের এ অবস্থা। প্রতিবেদনে বলছে, নারীর নিরাপত্তার বিষয়ে যুদ্ধবিধস্ত কঙ্গোর মতো অবস্থা বাংলাদেশের।

বিজ্ঞাপন

গবেষণা প্রতিবেদনে রয়েছে- নগরে নারী তাদের প্রতিদিনের কাজ করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। শহরের ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে সহিংসতার শিকার হন।  এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।

গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, বাংলাদেশের শহরের সহিংসতার শিকার নারীদের ৬৫ ভাগ সমাধান খুঁজতে গিয়ে দ্বিতীয়বার হয়রানির শিকার হন পুলিশের কাছে। তাই ৫৭ শতাংশ নারী মনে করেন, তাদের অভিযোগ গুরুত্ব নিয়ে দেখা হয় না।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, পাবলিক প্লেসে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন করা যায়। তবে ওই আইনের আওতায় ক্রোধের বশবর্তী হয়ে মানুষকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে মন্ত্রী জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, যৌন হয়রানি বিষয়টি কঠিন, তাই সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে, পরিবর্তন আনতে হবে মানসিকতায়

সারাবাংলা/জাআ/আরসি/একে/৩০ নভেম্বর,২০১৭

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন