বিজ্ঞাপন

আপনারা ভিজিবল হন: ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে সিইসি

December 5, 2018 | 1:10 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপরাধ দমনে গঠিত ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির বিচারকদের সকল প্রার্থীর অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

ইলেক্টোরাল কমিটির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আপনারা ‘ভিজিবল’ হননি। আপনারা যখন ভিজিবল হবেন, সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন- তখন সবাই আপনাদের সম্পর্কে জানবে। তখন আর নির্বাচন কমিশনে মানুষ অভিযোগ নিয়ে আসবে না। আমরা প্রতিদিন শত শত অভিযোগ পাই। আমরা সেগুলো আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। কিন্তু প্রয়োজন ছিল এগুলো সরাসরি আপনাদের কাছে যাবে। কিন্তু তা যায়নি।’

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনি তদন্ত কমিটির বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বিচারকদের সমন্বয়ে প্রতি জেলায় নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইসি। যাদের নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালনসহ নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে বিচারকাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যুগ্ম জজ পর্যায়ের বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিগুলো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় সিইসি তাদের ওপর ক্ষোভও প্রকাশ করেন।

এরই মধ্যে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গসহ নানা অপরাধের প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ আসা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনে। অথচ মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি নীরব রয়েছে। তদন্ত কমিটির বিচারকদের নির্বাচনি মাঠে সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ সময় চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগে. জেনারেল (অব:) শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১২২ টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হলেও কমিটি নীরব থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, সকল প্রার্থীর অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিতে হবে।

সিইসি বলেন, মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি নীরব রয়েছে। তদন্ত কমিটির বিচারকদের নির্বাচনি মাঠে সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। মাহবুব তালুকদার বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচন হলে এক পক্ষের আধিপত্য কখনই কার্যকর হয় না। এজন্য সবাইকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করে আমরা জাতির কাছে দায়মুক্ত হতে চাই। এজন্য রাগ অনুরাগের উর্ধ্বে উঠে সকলকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।

বেগম কবিতা খানম বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে দেবে না কমিশন। এজন্য সকলকে আইনানুগ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, নিরপেক্ষ আইনানুগ নির্বাচন করতে চায় কমিশন। আইনের প্রয়োগ অতি গুরুত্বপূর্ণ। সব রকম চাপ ভয় উপেক্ষা করে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন তিনি।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন