বিজ্ঞাপন

নিষিদ্ধ পাঠান মুক্তি পাচ্ছেন এ মাসেই

January 10, 2018 | 3:22 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

নিজের অজান্তে বড় ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন ভারতের সিনিয়র অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান। নিষিদ্ধ ডোপ শরীরে থাকায় ৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা পান তিনি। ডোপ বিরোধী সংস্থা ওয়াডার তালিকায় নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়ায় পাঠানকে ৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে, ভাগ্য ভালো পাঠানের, এই নিষেধাজ্ঞার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে এই মাসের ১৪ জানুয়ারি। আইপিএলের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি। তার আগেই নিলামে থাকা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই-এর নিষেধাজ্ঞায় বরোদা দলে জায়গা হয়নি ইউসুফ পাঠানের। রঞ্জি ট্রফি এবং আইপিএলে খেলা নিয়েও তাই শঙ্কায় পড়ে পাঠানের ক্যারিয়ার। এমনকি সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির আঞ্চলিক ম্যাচগুলোর জন্য বরোদা দল থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বোর্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পাঠানের মূত্রের নমুনায় নিষিদ্ধ মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সে জন্যই বরোদা ক্রিকেট সংস্থাকে তাকে দলের বাইরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘দিল্লিতে গত বছরের মার্চে টি-টোয়েন্টির একটি টুর্নামেন্ট শেষে ইউসুফ পাঠানের মূত্র পরীক্ষার জন্য বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি ডোপিং কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর তার মূত্রে নিষিদ্ধ মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। চোট সারাতে ইউসুফ ব্রোজিট নামক একটি ওষুধ সেবন করেছিলেন, যাতে নিষিদ্ধ টারবুটেলাইন রয়েছে। এই ওষুধ সেবন করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয় ক্রিকেটারদের। তবে, ইউসুফ বা তার ডাক্তার কেউই বোর্ডের কাছ থেকে অনুমতি নেননি। এমনকি কাশির সিরাপও সেবন করেছিলেন পাঠান। সেক্ষেত্রেও তিনি কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।’

বিজ্ঞাপন

গত অক্টোবরে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফিতে খেলার পর থেকেই মাঠের বাইরে পাঠান। রাজ্য দলে জায়গা না পাওয়া পাঠানকে বাকি রঞ্জির মৌসুমে না খেলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয় বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা না উঠলে কলকাতা নাইট রাইডার্স রাইট টু ম্যাচ কার্ডে পাঠানকে রিটেন করতে পারবে না। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে হয়তো বড় শাস্তি এড়াতে পারতেন না বরোদার এই ক্রিকেট তারকা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মেনে নিয়েছে, ইউসুফ ইচ্ছাকৃতভাবে এই নিষিদ্ধ পদার্থ নেননি, তার অজান্তেই সর্দি-কাশির ওষুধের সঙ্গে তা প্রবেশ করে শরীরে। তাই পাঁচ মাসের বেশি আর নির্বাসন দেওয়া হয়নি তাকে।

বিসিসিআই পাঠানের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হওয়ায় তার প্রতি খানিকটা সদয় ছিল। তার শাস্তি কার্যকর হিসেবে দেখানো হয় ১৫ আগস্ট থেকে। ১৪ জানুয়ারিই সেই নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল ক্রিকেটারের ভাবমূর্তির কথা ভেবে। ইউসুফ পাঠান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত ২৭ অক্টোবর বোর্ড চিঠি দিয়ে জানায়, ডোপ পরীক্ষায় আমার নমুনায় ওয়াডার নিষিদ্ধ রাসায়নিক ‘টারবুটেলাইন পাওয়া গিয়েছে। গলার সংক্রমণের চিকিৎসায় যে ওষুধ নিয়েছিলাম, তার মধ্যেই এই নিষিদ্ধ রাসায়নিক ছিল।’

ইউসুফ পাঠান হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি ডোপ টেস্টে ধরা পড়লেন। তার আগে দিল্লির প্রদীপ সাঙ্গওয়ানকে ডোপ নেওয়ার দায়ে ১৮ মাস নির্বাসিত হতে হয়েছিল। সাঙ্গওয়ান ২০১২ আইপিএলের সময় ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন