বিজ্ঞাপন

জামিনে বেরিয়েই ফের প্রশ্নফাঁসের কাজে লেগে যান তারা

December 8, 2018 | 2:38 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্ন ফাঁস করে গ্রেফতার হওয়া একটি চক্রের সদস্যরা জামিনে বেরিয়ে ফের একই কাজ করতেন। এমন একটি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়েছে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিমূলক পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীকে ফাঁস করা প্রশ্ন সরবরাহ করতো চক্রটি। কখনও কখনও তারা প্রার্থী প্রতি ৫-১০ লাখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে উত্তরপত্রও সরবরাহ করতো। এসব অপরাধে তারা গ্রেফতার হলেও কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে ফের একই কাজে জড়িয়ে যায় তারা।’

বিজ্ঞাপন

সবশেষ শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

ডিসি মাসুদুর রহমান বলেন, শুক্রবার মাদকদ্রব্য অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অপরাধে একটি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফকারকৃতদের মধ্যে তিনজন পরীক্ষার্থী এবং চারজন ছিলেন চক্রের সক্রিয় সদস্য।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থী হলেন-রবিউল আউয়াল, রাজিউর রহমান, রেজাউল করিম এবং চক্রের সদস্যরা হলেন, সোহেল রানা, মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম এবং দেবাশীষ। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র পাঠানোর আটটি ডিভাইস, ২৯টি ব্যাটারি, তিনটি পেনড্রাইভ, ৯টি ব্লু টুথ ডিভাইস, ৯টি বিভিন্ন অপারেটরের সিম কার্ড এবং আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এই চক্রের একজন সদস্য সোহেল রানাকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল জানিয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, কিন্তু পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে ফের একই কাজে সক্রিয় হয় সে। তবে জামিনে বের হলেও তার ওপর আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। যে কারণে তাকে ফের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

মাসুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দুটি ডিভাইস ব্যবহার করে এসব কাজে। একটি ছোট ডিভাইস কানের ভিতরে থাকতো, আর একটি সিম আকারের ডিভাইস শরীরের যে কোন অঙ্গে বসিয়ে রাখত। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন বের করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের দিয়ে দ্রুত প্রশ্নের সমাধান করে ডিভাইসগুলোর সহায়তায় তাদের কাছে পৌঁছে দিত চক্রটি। তাদের ব্যবহৃত ডিভাইস গুলো এতই সূক্ষ্ম, যে কারো প্রতি সন্দেহ না হওয়া পর্যন্ত বোঝার ক্ষমতা নেই বলে জানান তিনি।

ফাঁসকৃত প্রশ্নে নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী পাস করলে, তাদের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী ৫-১০ লাখ টাকা করে নেয়া হতো বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন