বিজ্ঞাপন

‘স্বাধীনতা বিরোধীদের ভিন্ন ছদ্মবেশ নতুন প্রজন্ম মেনে নেবে না’

December 14, 2018 | 4:34 pm

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: স্বাধীনতাবিরোধীদের ভিন্ন ছদ্মবেশ নুতন প্রজন্ম মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক তাজিন আজিজ চৌধুরী।

উপাচার্য বলেন, বিজয়ের এই মাসে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ বছরের বুদ্ধিজীবি দিবস এ কারণে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নির্বাচনে পাকিস্তানের দোসর, স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী অপশক্তি নতুন পরিচয়ে, ভিন্ন ছদ্মবেশে আত্মপ্রকাশ করছে। ‘পুরনো মদ নতুন বোতলে’ আবির্ভূত হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কতগুলো দল বা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যাদের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা বিভক্ত হয়ে বিজয়ের এই মাসকে কলঙ্কিত করছে। নতুন প্রজন্ম তাদের এই অবয়ব মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, ৪৭ এ প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িক চরিত্র ধারণ করছিল। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে আমরা তার প্রকাশ দেখতে পাই। কিন্তু আমাদের বুদ্ধিজীবিরা এ ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা স্বপ্ন দেখতেন, একটি উদার, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের। এজন্যই তাদের প্রাণ দিতে হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, ২৫ মার্চেই বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। হত্যাকান্ডে ইনটেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান ছিলেন জেনারেল রাও ফরমান আলী। হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নে এজেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল এদেশের কিছু মানুষকে। তাদের দ্বারাই আলবদর, আলশামস ও রাজাকার নামে কিছু সংগঠন গড়ে তোলা হয়। এদের মাধ্যমেই চিহ্নিত বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. এনামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির নেতারাসহ শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

এর আগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সকাল সোয়া ৬টায় উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের কবরস্থান, জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল। বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেকে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন