বিজ্ঞাপন

জামায়াত-বিএনপির থানা ঘেরাও, হাজার কোটি টাকার সন্ধানে গোয়েন্দারা

December 16, 2018 | 9:50 pm

।। জামশেদ নাজিম, বিশেষ সংবাদদাতা ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার থানা ঘেরাও কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে বিএনপি, জামায়াতসহ সরকারবিরোধী একাধিক শক্তি। আর এ কর্মসূচির শতভাগ সফল করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে থেকে আসছে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। এরইমধ্যে টাকার তথ্য সারা দেশের পুলিশ, বিজিবিসহ প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্রের তথ্য অনুসারে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রচারণার কোনো সুযোগই পাচ্ছে না। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীসহ বিএনপির সমর্থকরা হামলার শিকার হচ্ছে। এমনকি ছাপাখানা থেকে ধানের শীষের ছাপানো পোস্টার সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ছিনিয়ে নিচ্ছে। বিএনপির এখন আর কোনো রাস্তা নেই। সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সে লক্ষে থানা ঘেরাও কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সূত্র মতে, ডিসেম্বরে ২১ তারিখের পর এবং ২৭ তারিখের আগে যেকোনো একদিন একযোগে একই সময় সারাদেশের সব থানা ঘেরাও করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে, ওই দিন সকাল থেকে থানা বিএনপি ও জামায়াতের সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা জড়ো হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রার্থী মিছিল নিয়ে থানায় সামনে বসে যাবে। এমন কর্মসূচির উদ্দেশে সারা দেশের পুলিশের মনোবল দুর্বল ও দেশবাসীর কাছে সরকারবিরোধী শক্তির সম্পর্কে জানান দেওয়া। অবশ্য এসব বিষয়ে গোয়েন্দা সদস্যদের কাছে আরও বিভিন্ন তথ্য রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো এক দিন থানা ঘেরাও কর্মসূচির নামে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অরাজকতার চেষ্টা করবে। তাদের উদ্দেশ্য থাকবে, মিছিলের কথা বলে সবাইকে নিয়ে থানা ঘেরাও করবে। এরই মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বরিশাল-২ আসনে উজিরপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রকনুজ্জামান টুলুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেন বিএনপির প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। এ ছাড়াও বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়ন বঞ্চিত ২ হেভিওয়েট প্রার্থী পুলিশ প্রশাসনকে হেয় করার জন্যে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা জামায়াত-বিএনপির, পুলিশের হাতে ভোটের ম্যাপ

থানা ঘেরাও কর্মসূচির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা ছাড়ানো হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারের কেউ বলছেন, আন্দোলনের জন্য ঢাকায় অন্তত ছয় হাজার কোটি টাকা আসছে। অপর এক ব্যক্তি দাবি করছেন, দেশের বাইরে থেকে বিশেষ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় লিবিয়াসহ একাধিক দেশের মুদ্রা এসেছে। এগুলো আন্দলনের জন্য দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারবিরোধী জোট একটি বিশেষ পরিকল্পনা করছে। তারা নির্বাচনি কর্মসূচির নামে আন্দোলন করতে যে অর্থ ব্যবহার করছে; সে তথ্য আমাদের কাছে আসছে। ওই অর্থের সন্ধানে বিজিবি পথে পথে চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি করছে।’

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরজিম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার বিরোধীদের বিভিন্ন তথ্য আমাদের কাছে আসছে। সেসব তথ্য নিয়ে কাজ চলছে।’

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন