বিজ্ঞাপন

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তত তার আসনে ভয়মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন’

December 17, 2018 | 7:55 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: এবারের নির্বাচনে স্বরাষ্টমন্ত্রী এখানে প্রার্থী। আমরা মনে করছি, তিনি অন্তত তার আসনে ভয়-আতঙ্কমুক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন এবং তার যে ভূমিকা সে ভূমিকা তিনি রাখবেন। এবং এর মধ্যে দিয়ে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে এবং জনগণ যাকে ভোট দেবেন তিনি নির্বাচিত হবেন, বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

জোনায়েদ সাকি নির্বাচন করছেন ঢাকা-১২ আসন থেকে। এ আসনে প্রার্থী হিসেবে আরও রয়েছেন বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং বিএনপি থেকে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ ও ৩৬ নাম্বার ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই ঢাকা-১২ আসন। এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৮ জন। পুরুষ ১ লাখ ৮০ হাজার ৩৭০ এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৮ জন।

সোমবার ( ১৭ ডিসেম্বর) এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোদাল মার্কা নিয়ে জোনায়েদ সাকি তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড পুরো এলাকা ঘুরে বেড়ান, ভোটারদের কাছে যান এবং তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন। তার সমর্থকরা স্লোগান দেন ভয়মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মার্কা কোদাল, লোপাটমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মার্কা কোদাল। দক্ষ দেখে পক্ষ নিন-পরিবর্তনের শপথ নিন।

এরইমধ্যে জোনায়েদ সাকির সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ যদি গণতান্ত্রিক হয় তাহলে প্রতিযোগিতার হিসেব-নিকাশ করার সুযোগ থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশের মধ্যেই সমান সুযোগের জায়গা তৈরি হচ্ছে না-একটা একতরফা বিষয় থেকে যাচ্ছে। আর সেটা শুধু এই আসনে নয়, সারাদেশে একই ব্যাপার। ফলে সারাদেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য দাবি করে যাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের অত্যন্ত হেভিওয়েট প্রার্থী ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, তিনি এলাকার অনেক উন্নয়ন করছেন। সে আসনে মানুষ আপনাকে কেন ভোট দেবে জানতে চাইলে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমত মানুষ পরিবর্তনে আগ্রহী। বর্তমানে যে শাসন চলেছে সেখানে আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য মানুষ লড়াই করছে। ফলে আমরা মনে করি, মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেবে।’

বাংলাদেশের মেহনতির মানুষের প্রতিটি লড়াই গণসংহতি সঙ্গে ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মেহনতি জনগণের একটা বড় অংশ তেজগাঁও, বেগুনবাড়িসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাতে থাকেন। তাদের নিত্য দিনের যে লড়াই তার সঙ্গে আমরা যুক্ত ছিলাম, ফলে তাদের মধ্যে আমাদের একটা প্রভাব রয়েছে। মানুষ যদি অবাধে ভোাট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে নিশ্চয় মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দেবে।’

নির্বাচন করতে এসেও মানুষের মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক কাজ করছে, সেটা দূর করা প্রয়োজন মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশজুড়েরই নানা বাধাবিঘ্ন রয়েছে। তার মধ্যে দিয়েই আমরা প্রচারণা চালাানোর চেষ্টা করছি এবং জনগণ সাড়া দিচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাকে ভোট দেবেন এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।’

বিজ্ঞাপন

‘আমরা আমাদের কথা বলছি। সারাদেশের সকলেই একটা নিরাপত্তাহীনতা-ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ফলে ভয়মুক্ত একটা বাংলাদেশ চাই এবং আর সেটা কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না’ বলেন জোনায়েদ সাকি।

আর গণতন্ত্র থাকলে একটি জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি হয়। কিন্তু যখন ভোটের গুরুত্ব কমে যায়, তখন ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার আরও বেশি দম্ভ কিংবা বাহাদুরি দেখাবেন। আমরা সেই জায়গাটা বন্ধ করতে বলছি এবং তা করতে হলে কার্যকর গণতন্ত্র দরকার।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগ দেশের উল্লেখযোগ্য মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল। কিন্তু আমরা এমন একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা চাই যেখানে মানুষ রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারবে। তাদের হাতেই ভোটের ক্ষমতা থাকবে।’

সেটা থাকলে পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা অংশীদারিত্বের জায়গা তৈরি হয় এবং মতপার্থক্য এবং বিরোধিতা থাকলেও একটি জাতীয় ঐক্যের জায়গা থাকে যা কীনা দেশকে নিরাপদ করবে বলেন মন্তব্য জোনায়েদ সাকির।

তিনি বলেন, ‘মানুষেরও আকাঙ্ক্ষা, তারা ভয়মুক্ত দেশ চায়। তাই আমাদের লড়াইয়ে তাদের প্রতি আস্থা রয়েছে যে তারা আমাদের ভোট দেবেন এবং বিজয়ী করবেন।’

সারাবাংলা/জেএ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন