বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরলো টাইগাররা

December 20, 2018 | 5:42 pm

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

টাইগারদের ছুঁড়ে দেওয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজরা ১৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ১৭৫ রান। টাইগাররা ৩৬ রানের জয় পায়। প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় (১-১) ফিরলো টাইগাররা। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ালো ফাইনাল। আগামী ২২ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচটিতে মাঠে নামবে দুই দল।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে টাইগারদের আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েইট। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ২১১ রান। যা টাইগারদের টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গত মার্চে ১৯.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৫ রান করে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। তবে, আজকেরটাই প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে নামেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। ৪.১ ওভারে দুজন তুলে ফেলেন ৪২ রান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে জীবন পান তামিম। তারপরও খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের স্পিনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। বিদায়ের আগে তামিম ১৬ বলে এক বাউন্ডারিতে করেন ১৫ রান। ২৬ বলে ৫টি চার আর চারটি ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন।

বিজ্ঞাপন

আরেক প্রান্তে ব্যাটে ঝড় তোলেন সৌম্য সরকার। লিটনের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। ইনিংসের ১২তম ওভারে কতরেলের বলে ব্রাথওয়েইটের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে সৌম্য ২২ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৩২ রান। দলীয় ১১০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হওয়ার আগে লিটন ৩৪ বলে করেন ৬০ রান। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি বাউন্ডারি আর চারটি ওভার বাউন্ডারি।

১৩তম ওভারের শেষ বলে ওশানে থমাসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম (১)। দলীয় ১২০ রানের মাথায় বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায়। এরপর ৪২ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব ২৬ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে করেন অপরাজিত ৪২ রান। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে করেন অপরাজিত ৪৩ রান।

বিজ্ঞাপন

২১২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে উইন্ডিজ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবু হায়দার রনির বলে বিদায় নেন এভিন লুইস। লিটন দাসের তালুবন্দি হওয়ার আগে এই ওপেনার করেন মাত্র ১ রান। দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়ানরা। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় সাকিব ফিরিয়ে দেন তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরানকে। তামিমের হাতে ধরা পড়ে বিদায়ের আগে তিনি ৬ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ১৪ রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সাকিব বল তুলে দেন মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে। বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশের গলার কাঁটা শাই হোপকে বিদায় করেন মিরাজ। বিদায়ের আগে ১৯ বলে ৬টি বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন শাই হোপ।

দলীয় ৯৮ রানের মাথায় সাকিব ফিরিয়ে দেন শিমরন হেটমেয়ারকে। সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭ বলে এক চার, এক ছয়ে ১৯ রান করা হেটমেয়ার। একই ওভারে সাকিবের বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ড্যারেন ব্রাভো (২)। ইনিংসের ১৩তম ওভারে সাকিব স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ফিরিয়ে দেন ক্যারিবীয়ান দলপতি কার্লোস ব্রাথওয়েইটকে (৭)। ১৫তম ওভারে আবারো বোলিংয়ে এসে সাকিব তুলে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের উইকেট। বোল্ড হওয়ার আগে তিনি কোনো রানই করতে পারেননি। সাকিব টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের স্বাদ পান।

ইনিংসের ১৬তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রোভম্যান পাওয়েল। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ৩৪ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৫০ রান। ১৬ বলে ২৯ রান করা কেমো পলকে বিদায় করেন মোস্তাফিজ। ওশানে থমাসকে ফিরিয়ে শেষ উইকেটটি নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বিজ্ঞাপন

একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার রনি এবং মিরাজ। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। মিরাজ ৪ ওভারে ৫০ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট।

এর আগে সিলেটে ক্যারিবীয়ান পেসার শেলডন কতরেলের বলে খেই হারিয়ে ফেলেছিল টাইগার ব্যাটসম্যানরা। আর শাই হোপের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় সফরকারীরা। তাতেই সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে যায় টাইগাররা। সিরিজে সমতায় ফিরতে তাই মিরপুরে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের।

ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করে গাজী টিভি। খেলাটি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করে র‌্যাবিটহোলবিডি। এই ম্যাচে একাদশে কোনো পরিবর্তন ছিল না বাংলাদেশের। আর সিলেটের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা।

বাংলাদেশ একাদশ:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (সহ-অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি এবং আরিফুল হক।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ:
কার্লোস ব্রাথওয়েইট (অধিনায়ক), ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমেয়ার, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, কেমো পল, এভিন লুইস, নিকোলাস পুরান, রোভম্যান পাওয়েল, শাই হোপ, শেলডন কতরেল এবং ওশানে থমাস।

সারাবাংলা/এমআরপি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন