বিজ্ঞাপন

নেতিবাচক খবর থেকেই প্রেরণা নিয়েছেন সাকিব

December 21, 2018 | 1:38 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

মিরপুর থেকে: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন অসুস্থ ছিলেন বলে অনুশীলন করেননি। আসেননি সংবাদ সম্মেলনেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরানোর পর সংবাদ সম্মেলনেও সাকিব আল হাসান বললেন, এখনো ঠাণ্ডার সমস্যায় ভুগছেন। আছে পেটের পীড়াও। তবে এসব নিয়েই হয়েছেন ম্যাচসেরা, সামনে থেকে পথ দেখিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নেতিবাচক কথা থেকেই প্রেরণা নেন তিনি।

নেতিবাচক প্রশ্নটা উঠেছে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সাকিবের প্রতিক্রিয়ার জন্য। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেছিলেন, ব্যাটসম্যানরা কেন ওভাবে উইকেট দিয়ে এসেছিল সেটা তারাই বলতে পারবেন। তিনি সেটার উত্তর দিতে পারবেন না। আজ সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই সাকিব বললেন, ‘কোনো বার্তাই ছিল না। কারও সঙ্গে কথা হয়নি। যেটা হয়েছে, ব্যাটসম্যানদের দোষ দিয়ে আসিনি। উনাকে (উপস্থাপক শামীম আশরাফ চৌধুরী) বলেছি, এটা কোনো নেগেটিভ ইস্যু না, এবং ফান করে বলেছি। পুরো উত্তরটা তো আপনারা লিখবেন না বা বলবেন না। কারণ আমার নেগেটিভ নিউজ বেশ ভালো খায় মানুষ। আমিও পছন্দ করি। কারণ আমি মনে করি, এটা আমাকে ভালো করার জন্য অ্যাটলিস্ট একটু হলেও প্রেরণা জোগায়।’

তবে আজ অন্তত এসব মনে রাখতে চাইবেন না সাকিব। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যা করেছেন, সেটা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই আর কারও নেই। অন্তত ৪০ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ৫ উইকেট। সেটা মনে করিয়ে দেওয়া হলে সাকিব বললেন, ‘আমি সবসময় যেটা বলি অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগে। আজকে যেহেতু বড় পরিসরে করতে পেরেছি অবশ্যই ফিলিংসটা একটু বেটার। এ রকম কন্ডিশনেও আমি আশা করিনি ৫ উইকেট পেয়ে যাব। আসলে উইকেট পাওয়া একটু ভাগ্যের বাপার। আরেকটা জিনিস আছে- আমার কাজটা করতে হবে। ভাগ্য সাথে থাকাটা জরুরি, দুইটাই আজকে ছিল। আমার কাছে যেটা মনে হয় ব্যাটিংটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই সময়। কারণ যেটা বললাম, ওই সময় আমাদের দুইজনের একজনের উইকেট পড়ে যেত, আর পরের ব্যাটসম্যান যদি আউট হয়ে যেত তাড়াতাড়ি, তাহলে এ রকম রান আমাদের হতো না। একটা সময় যখন পর পর দুই উইকেট পড়ে গেল আমি চিন্তা করেছি যে আমাদের ধস আবার হয়ে যাবে কি না। তো ওই সময় আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

বিজ্ঞাপন

এই ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছে, সেটাও বেশ সন্তুষ্টি দিচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় গত ম্যাচ থেকে ব্যাটসম্যানরা অনেক শিক্ষা নিয়েছে। প্রথম ম্যাচে যেটা হয়েছে ১৪০ কিমিতে বল আসছে ওটাকে আমরা ১৮০ তে মারতে গিয়েছি। এখন ১৪০ এ আসছে ওটাই আমরা পেসটা ইউজ করেছি। আমার কাছে মনে হয়, অনেক সেন্সেবল একটা চিন্তা ব্যাটসম্যানরা করেছে। খুবই রাইট গেম প্লান করেছে। ভেবেছে এই পেসটা ইউজ করতে পারলে রান করা সম্ভব।’

সাকিব বলছেন, আজ ১৮০ ছাড়িয়ে ওই বাড়তো ২০-৩০ রানই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। খুব ভালো ব্যাট করলে ১৮০ হবে এ রকম আমাদের ধারণা ছিল। আমার ব্যক্তিগত ধারণা ছিল। সেখানে ২১১ হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, এটা প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে যে আমাদের ২০/৩০ রান বেশি আছে যেটা নিয়ে আমরা খেলতে পারব। বাজে হলেও ফিরে আসার সুযোগ থাকে। মিরপুরের উইকেট আমি মনে করি, সময় পেলে বেশ ভালোই প্রস্তুত করার সুযোগ আসে। আমি মিরপুরের উইকেট খারাপ বলতে পারব না। কারণ আমার ক্যারিয়ারের অর্ধেকই এখানে। বোলিং-ব্যাটিং সবই এখানে। আমার কাছে মিরপুরের উইকেটই ভালো।’

মিরপুরের পরিচিত কন্ডিশন আর দর্শকদের কথাও বললেন আলাদা করে। সাকিব বলেন, আমরা এখানে সব সময় ম্যাচ খেলি। আমাদের প্রতিটা প্লেয়ার অসংখ্য ম্যাচ খেলেছে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে। আমাদের জন্য এই মাঠ অনেক পরিচিত। সেই হিসেবে সিলেট অত পরিচিত না, আমরা খুব কম ম্যাচ খেলেছি, হয়তো যারা ওই রকম বেশি ডমেস্টিক খেলে না তাদের জন্য নতুন কন্ডিশন বলব সিলেটকে। সেই দিক থেকে মিরপুর আমাদের জন্য অনেক পরিচিত। সাপোর্টটা খুব ইমপরট্যান্ট থাকে মিরপুরে। ক্রাউডের ভাইভটা অন্য রকম ফিল ক্রিয়েট করে। আমার কাছে মনে হয় এটাও অনেক পজেটিভ একটা দিক, নেক্সট ম্যাচের আগে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন