বিজ্ঞাপন

সংসদ সদস্যদের শপথ ৩ জানুয়ারি

January 1, 2019 | 2:00 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ আগামী বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এর আগেই গেজেট প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা জানিয়েছেন।

গত রোববার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ২৮৮টি আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। জোটের সদস্য আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৯টি, জাতীয় পার্টি ২০টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দুইটি, বিকল্পধারা দুইটি, তরিকত ফেডারেশন একটি এবং জেপি একটি আসন পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি জোট অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র সাতটি আসন। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থীরা পেয়েছেন পাঁচটি আসনে জয় এবং গণফোরাম পেয়েছে দুইটি আসন। এছাড়া স্বতন্ত্রসহ অন্যরা জয় পেয়েছেন তিনটি আসনে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে তিন কারণে বিএনপির এ ভরাডুবি হয়েছে। তাহলো, তাদের প্রার্থী জনগণের মাঝে যায়নি, তারা আয়েশি জীবন যাপন করেছে এবং তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। জনগণ এসব মেনে নিতে পারেনি বলেই তাদের এই ভরাডুবি হয়েছে।’

বিএনপির ভরাডুবির আরও কিছু করাণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মিডিয়া চেহারা দেখানোর কাজে সময় বেশি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে না গিয়ে প্রেস ব্রিফিং এর আশ্রয় নিয়েছে বেশি। ইনু বলেন, ‘আমি মনে করি ভোটের ব্যবধান ঘটেছে ২ কোটি ২৫ লাখ নতুন ভোটার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ছিল। ফলে তারা এই নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত জোটকে ভোট দেয়নি।’

বিজ্ঞাপন

‘এবছর ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে আমি ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখিছি। এমনকি ভোট গ্রহণের শেষ সময়ে এসে লম্বা লাইনে মানুষ ভোট দিয়েছে।’, যোগ করেন তিনি।

এবারের ভোট সবচেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ পরিবশে ছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলেছেন। এমনকি দেশিয় মিডিয়াও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছেন।

কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা এটা সঠিক বলেনি। তারা মূলত কোন এজেন্টই দিতে পারেনি। নির্বাচনে হারলে তা প্রত্যাখ্যান করা বিএনপির বদঅভ্যাস। এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমি মনে করি। এর মধ্য দিয়ে তারা আগামী সংসদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা আপনাতত কোন সংকট দেখছি না। আমরা বিগত সময় একটি সংগ্রামর মধ্যে দিয়ে পার করেছি। এটা স্বাভাবিক যে বিরোধীরা বিরোধীতা করবে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসবে। আর প্রধানমন্ত্রী চাইলে তারা মন্ত্রিসভায় আসতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

নতুন সরকার কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’

সারাবাংলা/এইচএ/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন