সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে ভোটের রাতে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন জসিম উদ্দিন (৩০) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার জসিম এ ঘটনায় দায়ের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। তবে পুলিশ মামলার তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তিনি বাগ্যা গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার তদন্তে জসিমের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। পরে তার অবস্থান জানতে পেরে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় বাসুকে, ১ জানুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে। বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে গ্রেফতার হয় মামলার প্রধান আসামি সোহেল। পরে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সুবর্ণচর সদর উপজেলা থেকে এ ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমিন ও সেনবাগ উপজেলা থেকে মামলার আরেক আসামি বেচুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ৯। বাকিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ইলিয়াস।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর বসতঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘর ভাঙচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

এদিকে, গণধর্ষণের শিকার ওই নারীকে পরদিন ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ জানিয়েছেন, পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত মিলেছে।

সারাবাংলা/টিআর