সেঞ্চুরির পথে মিরপুর স্টেডিয়াম

সারাবাংলা ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি (বুধবার) শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর সেদিনই পূরণ হবে এই মাঠের ১০০তম ম্যাচের আয়োজন। বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মাত্র ১১ বছরেই এই মাইলফলক ছুঁতে চলেছে টাইগারদের ‘হোম অব ক্রিকেট’।

শুরুতে মিরপুর স্টেডিয়াম নামে পরিচিত থাকলেও পরবর্তীতে স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয়। ২৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটির সাথে টাইগারদের মধুর স্মৃতি কম নয়।

২০০৫ সালে এই মাঠে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ হয়, যেখানে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় স্কটল্যান্ড, আর ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট ম্যাচ দিয়েই শুরু হয় এই মাঠের টেস্ট আয়োজন। ২০১১ সালে এই স্টেডিয়ামকে ব্যবহার করা হয় বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান ভেন্যু হিসেবে।

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৩১টি, সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৫৪টি, মের্লবোর্ন ক্রিকেট মাঠে ১৪৭টি, হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে ১৩৬ ও শ্রীলঙ্কার আর.প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১২৪টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই ৫টি স্টেডিয়ামের চেয়েও দ্রুত ১০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করবে মিরপুরের এই মাঠ। মিরপুরের বর্তমান ম্যাচ সংখ্যা ৯৮টি। সোমবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের ওয়ানডের মধ্যদিয়ে ৯৯তম ম্যাচ আয়োজন করবে শের-ই-বাংলা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অনেকটা অবশ্য এই মাঠের সাথে জড়িয়ে আছে। এই মাঠেই গত ১১ বছরে ক্রিকেট তালিকার শীর্ষদলের বিপক্ষে অনেক জয়ের স্বাদ নিয়েছে টাইগাররা। এখানেই ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ তে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালও টাইগাররা এখানেই খেলেছে। টাইগারদের ২০১৫ সালে ভারত, পাকিস্তান আর দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদও আসে এই মাঠেই।

অ্যাশেজের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগার দল টেস্ট জয় পায় এখানেই।

ক্রিকেটের জন্য যা যা প্রয়োজন সেই সবকিছুই আছে শের-ই-বাংলায়। দুটি অনুশীলন মাঠ, ক্রিকেট বোর্ড রয়েছে এখানেই। ক্রিকেটারদের অত্যাধুনিক ড্রেসিং রুম, আর সাংবাদিকদের জন্য বড়মাপের প্রেস বক্স আছে এখানে।

সারাবাংলা/এসএন/এমআরপি