বিজ্ঞাপন

সিলেট সিক্সার্সের প্রাপ্তি স্বীকারের এক সন্ধ্যা

December 1, 2017 | 11:55 am

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

‘লাগলে বাড়ি বাউন্ডারি’ স্লোগান নিয়ে বিপিএলের এ আসরে অভিষেক হয়েছে সিলেট সিক্সার্সের। নিজেদের প্রথম বিপিএলেই হোম স্টেডিয়ামের মাটিতে সিলেটবাসী দেখিয়েছে প্রশংসনীয় আতিথেয়তা। সঙ্গে দলে দেশি-বিদেশি ভালো খেলোয়াড় ভিড়িয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছে সিক্সার্সরা।

সেই আলোচনা অব্যাহত রাখতে চায় তারা। সেই উপলক্ষে ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা, পৃষ্ঠপোষক ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৃহস্পতিবার এক পাঁচতারা হোটেলে হয়ে গেল সিলেট সিক্সার্সের প্রাপ্তি স্বীকারের সন্ধ্যা।

চট্টগ্রাম পর্ব শেষে রাজধানীতে এই আয়োজন শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টায়। তবে, প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান পৃষ্ঠপোষক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আসার পরপরেই আয়োজন আড়মোরা ভেঙেছে। অর্থমন্ত্রীর সস্ত্রীক আগমনে ডিম ডিম লাইট সন্ধ্যা জেগে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

সিক্সার্সের থিম সং ভিডিও দেখানোর মধ্য শুরু হয় আয়োজন। ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপিএল জার্নি নিয়ে বানানো এক ভিডিও দেখানো হয়। দলের মধ্যে উদ্দীপনা বজায় রাখতে খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হয়। দলের সেরা পারফর্মাদের আরও উজ্জীবিত করবার জন্য এই পুরস্কার।

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও সিলেট সিক্সার্সের পরামর্শক ওয়াকার ইউনুচকে দিয়ে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। ‘মাস্টার অব দ্য ফিউচার সিক্সার্স বোলার’ পুরস্কারটি দেওয়া হয় তাকে। এরআগে সিলেটে স্থানীয় খেলোয়াড় বের করার জন্য তিনি সেখানে একটি ক্যাম্প করেছিলেন। সেই স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে দেওয়া হয় পুরস্কার।

এতে উচ্ছ্বসিত ওয়াকার ইউনুস কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন কয়েক শব্দে, ‘যখন আমি সিলেটে এসেছি, দারুণ কিছু উপহার দিয়েছে এ শহর। সিলেট পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর শহর। বিশেষ করে চা বাগানগুলো অসাধারণ। এখানে প্রতিভা আছে অনেক। ভালো ট্রিটমেন্ট দিলে প্লেয়াররাও উঠে আসবে। এমনটা কোথাও দেখিনি। আমি গর্বিত এই দলের ছেলেদের নিয়ে। আমরা যা চেয়েছি তা অবশ্য পাইনি, তবে আশা হারালে চলেবে না। আমরা বেক করব। সামনের বছরে ফিরে আসতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

‘বেস্ট টিম প্লেয়ার’ হিসেবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় অধিনায়ক নাসির হোসেনকে। মঞ্চে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সতীর্থরাও মেতে উঠলেন দুষ্টুমিতে। বক্তব্যের সময়ে দূর থেকে বসে থাকা সাব্বির রহমান রুমনও একটু খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘ইংলিশ প্লিজ’। নাসির অবশ্য বক্তব্য রেখেছেন বাংলায়।

বেস্ট কিপার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন নুরুল ইসলাম সোহান। দ্য আউটস্টান্ডিং সিক্সার্স পুরস্কার গিয়েছে আবুল হোসেন রাজুর খাতায়। ‘স্টার সিক্সার্স’ পুরস্কার পেয়েছেন সাব্বির রহমান। দ্য হট অব সিক্সার্সের পুরস্কার পেয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির সিও ইয়াসির রোবায়েত। ‘সিক্সার্স অলরাউন্ডার’ পুরস্কার গিয়েছে লিওন প্লাঙ্কেটের পকেটে। ‘মোস্ট অ্যাক্সাইটিং সিক্সার্স’ পুরস্কার পেয়েছে ওয়েস্টইন্ডিজ তারকা আন্দ্রে ফ্লেচার। এসে বিদেশি স্বরে বাংলায় জানালেন উচ্ছ্বাসটাও, ‘ভালবাসি সিলেট’।

আয়োজনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল অর্থমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ। এক সময় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের কথা জানালেন তিনি। ৯-১০ বছর বয়সে এই সিলেটেই তার ক্রিকেট আগ্রহের কথা জানালেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলায় খেলতাম। আমার বয়স যখন ৯ কি ১০ তখন সিলেটে প্রথম খেলাটি শিখেছি খেলেছি। ইনজয় করেছি।’

এ ছাড়াও দলের সার্বিক পারফর্মেন্স নিয়ে জানালেন, ‘তারা তিন ম্যাচ দারুণ শুরু করেছে। পরে খুব একটা ভালো খেলেনি। কোনও ব্যাপার না। তারা ইনজয় করেছে। তারা যদি খেলে ইনজয় করে তার চেয়ে কিছু নাই। ইনজয়ের পরে তারা যদি জয় পায় তাহলে সেটা বোনাস হবে। তবে, আমরা ইনজয় করেছি। ’

বিজ্ঞাপন

তার বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজন শেষ হয়।

এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, সিলেট সিক্সার্সের চেয়ারম্যান শাহেদ মুহিত, টিম ডিরেক্টর ও জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ, সিও ইয়াসির রোবায়েত, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাশিদ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও পৃষ্ঠপোষকদের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই আয়োজনে অংশ নেন।

সারাবাংলা/জাহা/ডিসেম্বর ০১, ২০১৭

 

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন