বিজ্ঞাপন

নিজ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে বসছেন কাদের

January 14, 2019 | 10:03 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: চলমান প্রকল্প নিয়ে এক বৈঠকে বসছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ডেকেছেন প্রকল্প পরিচালকদের। থাকতে বলেছেন জোন প্রধানদের। প্রকল্পের সবশেষ অগ্রগতি আর কবে শেষ হচ্ছে তার সময়সীমা ওই বৈঠক থেকে জানতে চাইবেন মন্ত্রী। আর যেসব প্রকল্প ঝুলন্ত তা শেষ করতে ওই বৈঠক থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর সভাকক্ষে এ বৈঠক হবে। তবে এর মধ্যে মন্ত্রী আলাদা আলাদাভাবে প্রকল্প কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ডেকে প্রকল্পের সঠিক সময়সীমা এবং কাজের অগ্রগতির সবশেষ তথ্য জানবেন। কিছু বিষয়ে সমাধানে আসবেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর, সড়কের ভূমি ইজারা নীতিমালাসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো।

সড়ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, মূলত কাজের অগ্রগতি ও শেষ হওয়ার সময় অবগত হতে চান মন্ত্রী। পিছিয়ে থাকা প্রকল্পগুলোতে গতি জোরদার করতে চান। ওই সব প্রকল্পে ধীর গতির কারণ চিহ্নিত করে আনবেন সংশ্লিষ্টরা। এগুলো নিরবচ্ছিন্ন গতিতে শেষ করতে নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত নিয়ে যাবেন প্রকল্প পরিচালক।

বিজ্ঞাপন

এ সভা নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অধীনস্থ দপ্তর, সংস্থা প্রধান, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের পরিচালক, সওজ অধিদপ্তরের জোন প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করবেন। সভা শেষে ব্রিফ করে জানাবেন মন্ত্রী।

সড়ক ও সেতু বিভাগে বাস্তবায়াধীন কয়েকটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে শেষ না প্রকল্পের সংখ্যা বেশি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। এর মধ্যে মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। ঢাকা-সিলেট চারলেনসহ সড়ক ও জনপথ অধীদপ্তরের অধীনে বহু ঝুলন্ত প্রকল্প নিয়ে সিদ্ধান্তহীতায় বহু বছর কেটে গেছে। যা বাস্তবায়নে সরকার অতীতে প্রতিশ্রতি দিয়েছিল।

সেতু মন্ত্রীর একান্ত সূত্র জানায়, মন্ত্রীর ডাকা এ বৈঠক থেকেই দেশের সব মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান শুরুর নির্দেশ থাকতে পারে। সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে পালনেরও ঘোষণা দিতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেতুমন্ত্রীর এটাই প্রথম কোনো বৈঠক যেখানে সব প্রকল্প পরিচালক ও জোনপ্রধানদের ডাকা হয়েছে। মন্ত্রী কাদের এবারে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জানিয়েছিলেন তার প্রধান কাজ হবে সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো। এ বৈঠক থেকে এ বিষয়ে আরও সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়া পরপরই মন্ত্রী প্রথম সফরে গাজীপুর গিয়েছিলেন। এসময় ঢাকা সড়ক বিভাগকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিমানবন্দর সড়কে বিউটিফিকেশন কাজ দ্রুত শেষ করতে তাগাদা দেন। এ সংক্রান্ত নীতিমালার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে কর্মকর্তাদের নিদের্শ দেন। নীতিমালার ফাইল মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকায় এ সড়কের বিউটিফিকেশনে গতি আসছে না।

সারাবাংলা/এসএ/একে

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন