বিজ্ঞাপন

এখন কলাম লেখা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন: কাবেরী গায়েন

January 20, 2019 | 4:18 pm

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: সাংবাদিকতায় কলাম লেখা অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে এখন বোধ হয় কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। তিনি বলেন, অনেকে মনে করতে পারেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা কী করে সম্ভব হয়। আগে আইয়ুব-এরশাদ বন্ধ করে দিতো। কিন্তু তার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে সেলফ সেন্সরশিপ- করপোরেট পুঁজির বিনিয়োগ। পত্রিকা হাউজে কেউ কেউ বলেন, সব ঠিক আছে ভূম্যিদস্যু লিখবেন না, গার্মেন্টস লিখবেন না, কেউ কেউ বলেন- আর সব ঠিক আছে গ্রামীণ ফোন নিয়ে কিছু না বললে হয়।

রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সম্মাননা ও বৃত্তি প্রদান করেন।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পাঁচ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি’ দেওয়া হয়। এরা হলেন, স্নাতক ২০১৩-১৪ সেশনের মো. নাজমুল হুসাইন, মোস্তফা মো. তাহান, তারেক আল হাসান, ইশরাতুল জাহান শোভা ও ইসতিয়াক আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

একই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়নে অনন্য অবদান রাখায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ‘সংবাদপত্রে কলাম: তাৎপর্য ও শৈলী’ শিরোনামে স্মারক বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রাক্তণ শিক্ষক ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মো. আলী, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, মফিজুর রহমান, রোবায়েত ফেরদৌস।

স্মরক বক্তৃতায় অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, সংবাদ পরিবেশনা, সম্পাদকীয় নীতিমালা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ে প্রায়শই আলোচনা হতে দেখা যায়। সংবাদপত্রের কলাম নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও একটি সংবাদপত্রের জনপ্রিয়তা এবং তার প্রভাব নির্ভর করে সেই সংবাদপত্রের কলাম কতটা জনপ্রিয় এবং জনমনে তা কতটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তার ওপর।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বৈচিত্র্যতার মধ্যে একতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের এই বার্তা দেয় যে, আমাদের মধ্যে বৈচিত্র্যতা থাকবে, বিভিন্ন পরিচয় থাকবে, মত থাকবে, ভিন্ন ভিন্ন আদর্শের মানুষ থাকবে; কিন্তু তার মধ্যে একটি একতা থাকবে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় দর্শন।

সারাবাংলা/কেকে/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন