বিজ্ঞাপন

এ মাসেই পদ্মাসেতুতে বসবে আরেকটি স্প্যান

January 20, 2019 | 8:50 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৩ ভাগ এবং এ মাসের শেষ সপ্তাহে জাজিরা প্রান্তে আরও একটি স্প্যান স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ রোববার বনানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

এছাড়া ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে ট্যানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)-এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণফুলী টানেলের খনন কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

সেতু মন্ত্রী আরও জানান, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর অগ্রগতি শতকরা ৭৩ ভাগ, নদীশাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৫০ ভাগ ও মোট ২৬১টি পাইলের মধ্যে ১৯১টি পাইলের কাজ শেষ এবং আরও ১৫টি পাইলের আংশিক কাজ শেষ হয়েছে। মোট পিলার ৪২টি। এর মধ্যে ১৬টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ১৫টি পিয়ারের কাজ চলমান আছে। মোট স্প্যান ৪১টি। ইতিমধ্যে ৬টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ৯০০ মিটার দৃশ্যমান। এছাড়া ১৭টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। আরও ১৮টি স্প্যানের প্রস্তুত কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া তিন দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেন বিশিষ্ট কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার আটশত আশি কোটি চল্লিশ লাখ টাকা। খনন কাজের জন্য চীন থেকে সংগৃহীত ট্যানেল বোরিং মেশিনটির (টিবিএম) পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণফুলী টানেলের খনন কাজ শুরু হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩০ ভাগ। ২০২২ সালে টানেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রী জানান যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পিইসি আহ্বান করা হয়েছে।

আট হাজার নয়শত চল্লিশ কোটি আঠারো লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ভৌত কাজ এ পর্যন্ত ১২৮৯ টি পাইল, ২৭০টি পাইল ক্যাপ, ৫৬টি ক্রস-বিম, কলাম ১৫৭ (সম্পূর্ণ) ও ৮২টি (আংশিক), ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমধাপে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান চলমান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভোলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড। র‌্যামসহ সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে মেইন লাইন ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়েটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে। প্রকল্পটি ৩টি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপ- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপ- বনানী থেকে বড় মগবাজার, তৃতীয় ধাপ- বড় মগবাজার থেকে কুতুবখালী।

এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সেতু বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন