বিজ্ঞাপন

‘আমাদের সামনে এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের চ্যালেঞ্জ’

January 22, 2019 | 8:29 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট এসডিজি রোড ম্যাপ প্রণয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক বিজ্ঞানী বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুল রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ ২০১৩ সাল থেকে দানা জাতীয় খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা শুধু খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ছিল না। আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য এবং খাদ্যের প্রাপ্যতার পাশাপাশি নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে নিয়ে এগিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ এখন আর ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের দেশ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮-১৪ সালে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দেখেছি মঙ্গা অঞ্চলের মানুষরাই দিনে দুইবেলা করে খাবার পাচ্ছে। মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ২৮ ভাগে নামিয়ে আনার কথা ছিল যা ২৩ ভাগে নেমে আসে। এখন টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের এভাবে কাজ করতে হবে।

দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষির ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দারিদ্র নির্ধারণ করা হয় খাদ্যের প্রাপ্তির বিচারে, এ দারিদ্র কমতেও পারে কৃষির উন্নয়নের ফলে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দারিদ্র বিমোচনে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে আবদুল রাজ্জাক বলেন, দারিদ্র মানুষ যুক্তরাজ্যেও রয়েছে। আমরা হয়তো দারিদ্র্য একদম নির্মূল করতে পারব না। তবে আমরা অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, আমাদের জানতে হবে পুষ্টি খাদ্যে আমরা উদ্বৃত্ব নই। পুষ্টি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। পুষ্টি গ্রহণ বাড়ালে শস্য জাতীয় খাদ্যের ওপর চাপ কমে আসবে বলেও আশা করেন তিনি।

এ ছাড়াও কৃষির উন্নয়নে যে প্রযুক্তি আছে তার সঠিক ব্যবহার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং খাদ্য সংরক্ষণেও গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট এসডিজি রোডম্যাপ প্রণয়ন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. কবির ইকরামুল হক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, এমেরিটাস বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজাসহ আরও অনেকেই।

ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে প্রায় দ্বিগুণ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। এখন সময় এসেছে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও কঠোর হওয়ার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএ/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন