বিজ্ঞাপন

দশ ম্যাচের আটটিতেই হারলো খুলনা

January 26, 2019 | 5:08 pm

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে আগে থেকেই বিদায়ের ঘণ্টা বেজে আছে মাহমুহউল্লাহ রিয়াদের দল খুলনা টাইটান্সের। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচগুলোই বাকি। টেবিলের একেবারে তলানিতে থাকা দলটি এবার হারলো অলক কাপালির দল সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে।

চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৬ জানুয়ারি) নিজেদের দশম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে নামে খুলনা টাইটান্স। আসরের ৩১তম ম্যাচে সিলেটের কাছে ৫৮ রানে হারলো তারা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের অধিনায়ক অলক কাপালি। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তোলে সিলেট। জবাবে ১৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ১৩৭ রানেই থামে খুলনার ইনিংস।

বিজ্ঞাপন

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৭ রানে ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আল আমিনকে সঙ্গে করে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার ব্র্যান্ডন টেলর। তবে দলীয় ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফেরেন আল আমিন। চার রানের ব্যবধানে ৩ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বিপিএল ষষ্ঠ আসরের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে র‌্যাবিটহোলবিডি

বিজ্ঞাপন

এরপর মাহমুদউল্লাহ’র সঙ্গে জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন টেলর। তবে দলীয় ৮২ রানে নাবিল সামাদের বলে জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে ২৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর মাহমুদউল্লাহ ১১, আরিফুল হক ২৪, ডেভিড উইজ ৫, ইয়াসির আলী ৮ ও জুয়ায়েদ খান ৮ রান করে আউট হন। তাইজুল ইসলাম ৯ রানে আউট হলেই ইনিংস থামে খুলনার।

সিলেটের নাবিল সামাদ ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। তাসকিন আহমেদ নেন ২টি উইকেট। এছাড়াও সোহেল তানভীর, এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ নওয়াজ ও অলক কাপালি একটি করে উইকেট নেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের সূচনা হয়েছিল ভালোভাবেই। প্রথম উইকেটে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন মিলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। তবে সেই জুটি ভেঙে দেন তাইজুল ইসলাম। তার করা বলে ডেভিড উইজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ফেরার আগে ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এরপর দলীয় ৮৪ রানে জেসন রয়কে মাত্র ১ রানে ফেরান তাইজুল। তার বলে জুনায়েদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেসন রয়। পাঁচ রানের ব্যবধানে আফিফকে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে ফেরান তাইজুল। ৩৭ বলে ৫ চার ও দুই ছক্কায় সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

সারাবাংলায় পড়ুন : খুলনার বিপক্ষে সিলেটের সংগ্রহ ১৯৫

এরপর নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে করে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাব্বির। তবে দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ১২ রানে জুনায়েদের বলে উইকেট বিলিয়ে দেন পুরান। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে করে জুটি গড়েন সাব্বির। শেষ দিকে দু’জনই ব্যাটে ঝড় তোলেন। তাতে ৮৯ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। তাতেই দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৯৫ রান। ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির। আর ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন নওয়াজ। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার।

এ নিয়ে ১০ ম্যাচের মাত্র ৪টিতে জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে সিলেট। এই ম্যাচে জয় তুলে প্লে অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা। আর ১০ ম্যাচের মাত্র ২টিতে জয় তুলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একেবারে তলানিতে আছে খুলনা।

ছবি: শ্যামল নন্দী

সারাবাংলা/এসএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন