বিজ্ঞাপন

ভুল ঢাবি কর্তৃপক্ষের, ভুগছেন শিক্ষার্থী

January 26, 2019 | 9:56 pm

।। কবির কানন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: কর্তৃপক্ষের ভুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী তার পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারেননি। এতে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তবে ডিন বলছেন, ‘এমনটি করতে তারা বাধ্য হয়েছেন।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের পুনঃভর্তি পরীক্ষায় পল্লব রানা পারভেজ নামে এক শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৭১তম মেধাক্রম অর্জন করে। অনুষদ থেকে বিষয়ক্রম পছন্দে তাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে মনোনীত করা হয়। পরবর্তী নিয়ম অনুসারে ওই শিক্ষার্থী গত ডিসেম্বরের ১০ তারিখে ভাইভাতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তির জন্য বলা হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে অনুষদ কর্তৃপক্ষ অটো মাইগ্রেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার বিষয়ক্রম প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, পল্লব রানার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিবর্তে লোক প্রশাসন চলে এসেছে। অথচ তার বিষয়ক্রম পছন্দের তালিকায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিচে লোক প্রশাসন ছিল।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে অটোমাইগ্রেশনের নিয়ম হলো কোনো ‘শিক্ষার্থী মনোনীত পছন্দক্রমের নিচের সাবজেক্ট পেতে পারে না।’ কিন্তু তার ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনভাবে সেটাই হয়েছে।

বিষয়টি জানতে ওই শিক্ষার্থী ডিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তাকে বলা হয় লোক প্রশাসন সাবজেক্ট দেওয়া ভুল হয়েছে এবং পরবর্তীতে তার পছন্দক্রম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি করা হবে। কিন্তু পরে ওই শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক না পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করেন। তখন বলা হয়, এক শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণেই এই সমস্যা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “প্রথমে ভর্তির আশ্বাস দিলেও এখন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাকে লোক প্রশাসন বিভাগ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে বলা হচ্ছে। অথচ ডিন অফিস কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নিয়মে বলা হয়েছে ‘প্রকাশিত তালিকায় যারা বিভাগ পেয়েও সাক্ষাৎকারে অনুপস্থিত থাকবে, তাদের আসনটি খালি বলে গণ্য করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের ভর্তির আর কোনো সুযোগ থাকবে না।”

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলাকে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পড়ার। পছন্দক্রমে প্রথমে সেই সাবজেক্ট আসে। কিন্তু পরবর্তী নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্য সাবজেক্ট দেওয়া হয়। এতে আমি হতাশ হয়ে পড়ছি। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের কাছে এমন ব্যবহার প্রত্যাশা করিনি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘১৫তম মেধাক্রম যার ছিলো সে ভাইভা বোর্ডে আসতে একটু দেরি করে ফেলেছিল। পরবর্তীতে সে যখন উপস্থিত হয় তখন বিষয়টি আমরা ঠিক করে দিতে বাধ্য হয়েছি। মেধাক্রমেই সে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পেয়েছিলো।’ এমন ঘটনা প্রত্যেক বছর এমন দু’একটি হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিষয়টি অবহিত করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, ‘এটা নিয়ম বহির্ভূত। কেউ যদি তার নির্দিষ্ট বাস মিস করে তাহলে সে পরবর্তী বাসে আসবে। কিন্তু মিস করা বাসে আসার কোনো সুযোগ নেই।’

সারাবাংলা/কেকে/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন