বিজ্ঞাপন

তাড়াশের আঞ্চলিক সড়কের বেহাল অবস্থা

January 27, 2019 | 11:51 am

।। রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী তাড়াশের সড়ক-আঞ্চলিক সড়কগুলোতে খানাখন্দকে ও মাঝে মাঝে পিচ উঠে গর্ত হয়ে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শুকনো মৌসুমে সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক গর্ত।

সড়কের কোথাও ভাঙতে ভাঙতে রাস্তা এত সরু হয়ে গেছে যে, যখন একদিকের যানবাহন পার হয় তখন অন্যদিকের যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার ভাঙা অংশে ঝাঁকুনি খেতে খেতে হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। কখনো কখনো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। সড়কের পিচ-পাথরগুলো উঠে এখন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তাড়াশ-রানীরহাট পাকা সড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিকের সড়কের এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেশির ভাগ অংশে পিচ, পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দক তৈরি হয়েছে। এতে দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসার সেই তাড়াশ-মান্নান নগর রাস্তাটি।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাড়াশ-রানীরহাট ও তাড়াশ-মান্নাননগর সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মটর সাইকেল, বাস, ট্রাক, ট্রলি, সিএনজি, অটোরিক্সা, ভ্যান, ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল করে থাকে। মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া সড়কগুলো দিয়ে এখন আর তেমন যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সড়কটির পাশে অবস্থিত উপজেলার সবচেয়ে বড় ধানের হাঁট বিনসাড়া বলা যায় এখন ক্রেতা-বিক্রেতা শূন্যপ্রায়। এছাড়াও গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের বড় হাটগুলোও এখন আগের মতো সরগরম থাকে না। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী মান্নাননগর থেকে তাড়াশ হয়ে রাণীহাট পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার পাকা সড়ক দীর্ঘদিন যাবত মেরামত ও নজরদারির অভাবে অধিকাংশ স্থানে বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় তাড়াশ ও বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের সঙ্গে যোগাযোগে রানিহাট, গুল্টা, তালম, চৌড়া, গোন্তা, মানিকচাপর, পেঙ্গুয়ারী, বিনসাড়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ঘটছে প্রতিদিনই প্রায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

তাড়াশ উপজেলার পাড়িল গ্রামে আব্দুল লতিফ সরকার, হাজী আলতাফ হোসেন, মোজাম্মেল হকসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বহুদিন হল আমরা এই (তাড়াশ-রানীহাট) সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানালেও এখনও কোনো প্রকার সংস্কার করা হয়নি।

ট্রাকচালক হযরত আলী বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় অনেক গর্ত। কোথা কোথাও ভেঙে গেছে যে যখন একদিকের যানবাহন পার হয় তখন অন্যদিকের যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে যানবাহন অধিকাংশ সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পরিবহন মালিকরা।’

সিরাজগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ দুলাল জানান, জেলার তাড়াশের আঞ্চলিক সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় পিচ, পাথর উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহনের ক্ষতির পাশাপাশি গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় বেশি লাগছে। তিনি দ্রুত সড়কগুলো মেরামতের দাবি জানান।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদউল্লাহ জানান, মান্নাননগর থেকে তাড়াশ হয়ে রানিহাট পর্যন্ত রাস্তাটির আসলেই নাজুক অবস্থা। তাড়াশ থেকে রানীহাট রাস্তাটি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন