বিজ্ঞাপন

নিস্তার নেই ‘তার’

January 16, 2018 | 8:09 pm

জাহিদ-ই-হাসান

বিজ্ঞাপন

একের পর এক ধকল সহ্য করতে হচ্ছে তাকে। বছরজুড়ে সবচেয়ে ব্যস্ততা তারই। এতো ব্যস্ততায় নিজের রূপটাই হারাতে চলেছে সে। অবশ্য এবারই নতুন নয়, আর আগেও মাটি-পানি-কাদায় নিজের বারোটা বেজেছিল তার। তবে কষ্ট দেখানোর কোনও সুযোগ নেই। কথা বলতে পারে না যে সে, শুধু সহ্য করে যায়!

সয়ে যাওয়া সে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এই মাঠেই বছরজুড়ে একের পর এক টুর্নামেন্ট বসছে। শতাধিক খেলোয়াড়ের পদচিহ্ন পড়েছে এতে গত বছর জুড়েই। এই মাঠেই শুরু হয়েছে নতুন টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপও।

বিপিএল, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্ব, এএফসি কাপের বাছাইপর্ব, ফেডারেশন কাপ এরপর স্বাধীনতা কাপ। ঘরোয়া ফুটবল বা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের একটি মাত্র ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই মাঠটিই। ফুরছত পাওয়ার সুযোগ কই?

বিজ্ঞাপন

সেই বিরতির কোনও সুযোগ রাখেনি দেশের ফুটবলের অভিভাবক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। গতবছর শুরু হওয়া প্রিমিয়ার লিগে ভেন্যু কমিয়ে ঢাকা কেন্দ্রিক হয়েছে বাফুফে। বাফুফের এমন উদ্যোগে তাই স্বাভাবিকভাবে অসহায়ত্ব বরণ করতে হয়েছে এই স্টেডিয়ামকে।

মাঠটার অবস্থা যে কি করুণে ঠেকেছে তা নিজ চোখে না দেখলে ঠাওর করার উপায় নেই। সবুজ ঘাসগুলো প্রায় অদৃশ্য। ঘাসের বদলে কালো মাটিটা জেগে উঠেছে। মধ্যভাগেই সবচেয়ে ম্যাড়ম্যাড়ে। যে জায়টা সবচেয়ে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয় খেলোয়াড়দের।

বিজ্ঞাপন

এতে করে খেলারও মান নষ্ট হয়। ঠিকমতো পাস পৌঁছাতে পারেন না ফুটবলাররা। অনেকসময় মাটিতে পরে বল বাতাসে ভাসে। তাতে খেলার সমন্বয়ে ব্যঘাত ঘটে বলে মনে করে ঢাকা আবাহনীর অধিনায়ন মামুন মিয়া, ‘মাঠের যে অবস্থা তাতে খেলা মুশকিল। সঠিকভাবে পাস দেয়া যাচ্ছে না। আর বল বেশি লাফ দিচ্ছে। তাতে পাসও ঠিক মতো দেয়া যাচ্ছে না। সমন্বয় করা যায় না ঠিকমতো।’

এতো গেল মাঠের ভেতরের খবর। এছাড়াও ফ্লাডলাইডে আলোর স্বল্পতা আর অবকাঠামোগত দুর্বলতা তো আছেই। আলোর অভাবে কিছু জায়গায় খেলার সমস্যা হয় বলে জানান মামুন, ফ্লাডলাইটের আলোতে মাঠের পুরো অংশে সমান আলো পড়ে না। তাতে খেলার সমস্যা হয়।

তবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারে ৯১ কোটি টাকার বাজেট হাতে নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়।

তবে ভেন্যু না বাড়িয়ে ঢাকা কেন্দ্রীক টুর্নামেন্ট ছেড়ে দেয়া জনপ্রিয়তার সঙ্গে ফুটবলেরই ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন আবাহনী অধিনায়ক, ‘ভেন্যু বাড়ালে মাঠে দর্শক আসবে। মানুষ খেলা দেখবে। গতবছরে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকটা টুর্নামেন্টে মাঠ ভরে দর্শক এসেছে। দেশে এখনও ফুটবলটা পছন্দ করে।’

বিজ্ঞাপন

ভেন্যু বাড়ালে যেমন মাঠ বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পাবে অন্যদিকে দর্শকও মাঠমুখী হওয়ার সুযোগ পাবে। সেই পথে হাটতে হবে বাফুফেকেই।

সারাবাংলা/জেএইচ/এসএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন