বিজ্ঞাপন

ভোটার ও প্রার্থীর বয়স ৩০, হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র করার প্রস্তাব

January 29, 2019 | 12:39 pm

।। কবির কানন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের বয়স ৩০ করার প্রস্তাব দিয়েছে ডাকসু নির্বাচনের গঠনতন্ত্র সংশোধনী ও পরিমার্জন বিষয়ক কমিটি। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী বডি সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বিষয়গুলো তোলা হবে। সেখানে সিন্ডিকেট সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে।

ডাকসুর জন্য খসড়া আচরণবিধি প্রণয়ন

গঠনতন্ত্র সংশোধনী ও পরিমার্জন বিষয়ক কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের বয়স ৩০ হতে হবে। তবে নিয়মিত ছাত্ররাই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন এবং যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে এসে মাস্টার্স বা এমফিল করছেন তারা শুধু ভোটার হতে পারবেন। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের ঐতিহ্য অনুযায়ী ডাকসুর ভোটকেন্দ্রগুলো প্রতিটি হলে করার প্রস্তাব করেছে কমিটি। তবে ছাত্রলীগ ছাড়া অধিকাংশ সংগঠন ডাকসুর ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করার প্রস্তাব করেছিলেন।

ডাকসুর প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার বয়স এবং হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র করার প্রস্তাবের বিষয়ে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির একাধিক সদস্য সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা জানিয়েছে কমিটির প্রস্তুাব কোনো চূড়ান্ত বিষয় নয় সিন্ডিকেট সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য সারাবাংলাকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিলে পড়ার যোগ্যতা লাগবে। প্রার্থী ও ভোটারদের বয়সসীমা ৩০ করার প্রস্তাব করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই সদস্য বলেন, এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করতে হবে।’

সান্ধ্যাকালীনে কোর্সে অধ্যয়নরতরা ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো প্রস্তাব নেই। তবে সিন্ডিকেট যদি কিছু করা প্রয়োজন মনে করে তাহলে তারা করবে।’

বিষটি নিশ্চিত করে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিলে অধ্যয়নরতদের কথা বলেছি। তাদের বয়সসীমা ৩০ করার একটি প্রস্তাব করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তনের এখতিয়ার আমাদের নেই। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে কিছু বিষয়ে কেবল সুপারিশ করেছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো আচরণবিধিও প্রণয়ন শেষ করেছে সাত সদস্যের আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটি। ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে তারা কয়েক দফা বসে একটি খসড়া আচরণবিধি তৈরি করে। পরে সেই আচরণবিধি আবার ছাত্রসংগঠগুলোর কাছে সংশোধনী জন্য পাঠানো হয়। ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের সংশোধনী গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে পাঠান। প্রক্টর সেগুলো আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন। এই আচরণ বিধিও চূড়ান্ত করার জন্য আজ সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে উঠবে।

এ বিষয়ে আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, ‘মোট চারটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর আচরণবিধির খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলো যেসব প্রস্তাব দিয়েছে আমরা সেগুলোও দেখেছি। সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আচরণবিধি চূড়ান্ত হবে।’

সারাবাংলা/কেকে/এমআই/জেডএফ

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞাপন

ডাকসু নির্বাচনে ‘নতুন শক্তি’ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা

ডাকসুর ভিপি না হলে নেতা হতাম না: তোফায়েল আহমেদ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন