বিজ্ঞাপন

ব্রেক্সিট: ভোটে জিতলেন মে, ইইউ’র সঙ্গে ফের আলোচনার প্রস্তাব পাস

January 30, 2019 | 9:08 am

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোটে জয়ী হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। ব্রিটিশ সাংসদরা তার প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আসন্ন দিনগুলোতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসতে চেষ্টা করবেন তিনি। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মোট সাতটি অ্যামেন্ডমেন্ট বা সংশোধনীর প্রস্তাবের পক্ষে ভোট হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল জ্যেষ্ঠ টরি নেতা স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির প্রস্তাবিত সংশোধনীটি। তিনি, মে’র চুক্তি থেকে নর্দার্ন আইরিশ ব্যাকস্টপ বাতিল করে ওই চুক্তি নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রেখেছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্যরা তার এই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোটের আগে দেওয়া এক বক্তব্যে মে জানান, তিনি ইইউ’র সঙ্গে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা নিয়ে পুনরায় আলোচনার চেষ্টা চালাবেন। বিতর্কিত ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা নিয়ে ফের আলোচনা করতে ব্রাসেলস যাবেন।

বিজ্ঞাপন

তবে ইইউ পূর্বে জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ক চুক্তি পাল্টাবে না। এ প্রসঙ্গ টেনে মে বলেন, ইইউ অনিচ্ছুক থাকলেও তিনি নিশ্চিত যে, তিনি এ বিষয়ে পরিবর্তন আনতে পারবেন।

ভোটে জয়ী মে ও করবিন

মঙ্গলবার স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১৭ জন সাংসদ। অন্যদিকে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৩০১টি। বিশ্লেষকরা ও মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, এতে করে অপ্রত্যাশিত জয় পেলেন মে। যদিও ভোটের আগে ধারণা করা হচ্ছিল তিনি হারতে চলেছেন।

ভোট শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট বিবেচনা করে ও ইইউ’র সঙ্গে তার আলোচনা শেষে তিনি পুনরায় হাউজ অব কমন্সে তার চুক্তি উপস্থাপন করবেন।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু ইইউ জানিয়েছে, তারা ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা নিয়ে কোন আলোচনায় বসবে না। তবে আর্টিকেল ৫০ বর্ধিত করতে আলোচনায় বসার পথ খোলা রাখবে।

আরও পড়ুন- ব্রেক্সিট: পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খল বিতর্ক, ভোটের অপেক্ষায় ব্রিটেন

এদিকে, বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন প্রস্তাব রেখেছিলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা বাতিল করে দিতে। সাংসদরা তার এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। এতে করে মে’র সঙ্গে তার আলোচনার সম্ভাবনা বেড়েছে।

উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে মে’র প্রস্তাবিত চুক্তি হাউজ অব কমন্সে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপরই লেবার পার্টি প্রস্তাবিত এক অনাস্থা ভোটে অল্প ব্যবধানে টিকে যান মে। অনাস্থা ভোট শেষে করবিনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু তখন করবিন জানিয়েছিলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা দূর না হলে কোন আলোচনায় বসবেন না তিনি।

বিজ্ঞাপন

ভোটের আগে হাউজ অব কমন্সে যা ঘটেছে

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা) ব্রেক্সিট চুক্তির সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটের আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) থেকে হাউজ অব কমন্সে নিজ নিজ প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য দেন মন্ত্রীরা।

মন্ত্রীদের বক্তব্যে, বিশেষে করে করবিন ও মে’র ক্ষেত্রে পার্লামেন্টে তীব্র বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে পার্লামেন্ট স্পিকার জন বেরকো নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় হিমশিম খান।

উল্লেখ্য, কোনো মন্ত্রীর বক্তব্যে অন্যান্য মন্ত্রীরা চাইলে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বক্তা ওই হস্তক্ষেপ গ্রহণ অথবা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। আরেকটি উপায় হচ্ছে, পার্লামেন্টারি প্রক্রিয়া নিয়ে স্পিকারের কাছে ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’ ডেকে হস্তক্ষেপ করতে পারেন।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে করবিন ও মে’র বক্তব্যের সময় অসংখ্য হস্তক্ষেপের অনুরোধ ও পয়েন্ট অফ অর্ডারের ডাক পড়েছে। বিশেষ করে করবিন তার বক্তব্যের সময় নিজ দলের সদস্য এঞ্জেলা স্মিথের একটি হস্তক্ষেপ অনুরোধ না বারবার প্রত্যাখ্যান করে গেলে তা নিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। একইরকম ঘটনা দেখা গেছে মে’র ক্ষেত্রেও।

সারাবাংলা/আরএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন