বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে: সিইসি

January 31, 2019 | 1:53 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন আমাদের প্রস্তুতি পর্বের একটা ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে চলেছে। কয়েকদিন আগেই আপনারা একটা সুন্দর, স্বার্থক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছেন। আপনারা একটি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দায়িত্বপালন করেছেন এবং সেই জন্য আপনাদের প্রথমেই অভিবাদন জানাই।’

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে আয়োজিত রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কি খুবই সন্তোষজনক হয়েছে, প্রশ্ন মাহবুব তালুকদারের

বিজ্ঞাপন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন,  উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে স্থগিত নির্বাচন এবং উত্তর সিটির ৯ ও ২১ নং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শূন্য পদে নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘অনেক পরিশ্রম করে, প্রতিকূলতার মধ্যে, সমালোচনার মধ্যে এবং নানা রকমের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আপনারা নির্বাচনের উত্তরণ ঘটিয়েছেন এবং দেশ পরিচালনার জন্য একটা স্বাভাবিক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।’

সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের গতিধারা অব্যাহত রেখে রাজধানী শহর ঢাকার নির্বাচনের দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন বলে আমি আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা এখন মেয়র বা কাউন্সিলর হবেন তারা এক বছর হাতে পাবেন। তারপর আবার ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসের দিকে পুরো নির্বাচন হবে। সেদিনটা যাই থাক না কেনো সেটা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। সেই গুরুত্ব অনুসারে যেভাবে নির্বাচন করা দরকার, যেভাবে নির্বাচন করতে আমরা অভ্যস্ত এবং জাতিকে যেভাবেই নির্বাচন উপহার দিয়েছেন আপনারা।’

বিজ্ঞাপন

‘শুধু এই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়। বিভিন্ন পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচনগুলো করেছেন। সেভাবেই গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। তার কারণ হলো- এর মেয়াদ যাই থাক না কেনো ঢাকা সিটিতে নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে রকম দায়িত্ব আপনারা পালন করেছেন তার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। দেশি-বিদেশি অবজারভার যারা ছিল, তারা এখানে যারা সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করেছেন আপনাদের ব্যাপারে কোনো রকমের বিরুপ মন্তব্য করতে পারেনি। আপনাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ছিল, নিরপেক্ষতা ছিল, ধৈর্য ছিল এবং সাহসিকতা ছিল সেকারণেই।

সিইসি বলেন, ‘যে যাই বলুক না কেনো, কথা হলো—অনেকে অনেক রকম তীর্যক কথা বলবেন, অনেকে অনেক উপদেশমূলক, গম্ভীর গম্ভীর কথা বলবেন। সেখান থেকে যতটুকু আহরণ করা দরকার করবেন, প্রয়োগ করা দরকার করবেন এবং সবচেয়ে বড় কথা আপনাদের নিজের মেধা, বুদ্ধিমত্তা, সাহস, নিরপেক্ষতা এবং নিজের ওপর যে আস্থা সেটা সব থেকে বড় কথা। সুতরাং কবিতা এবং গল্প দিয়ে আপনাদের পেট ভরানো যাবে না। আপনাদের নিজস্ব সত্ত্বা আছে, নিজস্ব যে দায়িত্ব আছে, নিজস্ব যে জ্ঞান আছে সেটাই প্রয়োগ করে দায়িত্বপালন করবেন।’

তিনি বলেন, ‘মাঠে যারা আছেন। তারা এই নির্বাচন কমিশনের আত্মার সঙ্গে জড়িত। আমরা আত্মিকভাবে এর সঙ্গে সম্পর্কিত। সুতরাং এখানে একজনে টোকা দিলো, খোঁচা দিলো বা ধাক্কা দিলো। তাতে আপনারা বিচলিত হবেন না। আপনাদের দায়িত্ব যেভাবে পালন করা দরকার সেভাবে পালন করে যাবেন।’

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন