বিজ্ঞাপন

এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে বিশেষ উদ্যোগ

January 31, 2019 | 9:22 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগামী শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি শিক্ষা বিভাগকে সহায়তা করতে পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে আলাদা উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে একাধিক নির্দেশনা জারি করেছে।  যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, এবারই প্রথমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া প্রশ্নপত্র বহন করা যাবে না।  পাশাপাশি প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সচিব ও একজন পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।  প্রশ্নপত্রের সেট কোড পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে।  কোনো পরীক্ষার্থী দেরিতে এলে রেজিস্টারে তার নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ লিখে রাখতে হবে। দেরিতে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রতিদিনেরটা প্রতিদিনই কেন্দ্র সচিবকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে জানাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন বা অনুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে র‌্যাব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনী চালাবে আন্ডারকাভার অপারেশন।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এরই মধ্যে র‌্যাব নজরদারি শুরু করেছে। সাইবার পেট্রোলিং (ইন্টারনেটে গোয়েন্দাগিরি) চলছে। এ ছাড়া আন্ডারকাভার অপারেশন নামে বিশেষ অপারেশন চালানো হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে একইসঙ্গে পুলিশও থাকছে মাঠে। পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময় কেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতরে-বাইরের সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ।

 আরও পড়ুন: কোচিং না ছাড়লে চাকরি হারাবেন স্কুল-মাদরাসার শিক্ষকরা

পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সে অর্পিত ক্ষমতাবলে’ পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের ‘অনধিকার প্রবেশ’ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বলেন, ‘সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  পরীক্ষা নকলমুক্ত পরিবেশেই হবে।’ এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী জানান, পরীক্ষায় মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এরমধ্যে ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র এবং ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী। এছাড়া মোট ৩ হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, ২০১৮ সালের তুলনায় এবার মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন।  এরমধ্যে ছাত্র বেড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী বেড়েছে ৫৬ হাজার ২০৫ জন।  এছাড়া ২০১৮ সালের তুলনায় এবার ১৩১টি প্রতিষ্ঠান, ৮৫টি কেন্দ্র বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেটকোড জানিয়ে দেওয়া হবে।’ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সারাবাংলা/জেআইএল/ এমএনএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন