বিজ্ঞাপন

কুবি’র অধিকতর উন্নয়ন থমকে গেছে প্রশাসনের ‘উদাসীনতায়’

February 1, 2019 | 4:34 pm

।। কুবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রশাসনের ‘উদাসীনতায়’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ‘অধিকতর উন্নয়নের প্রকল্প’ থমকে গেছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ‘উদাসীনতায়’ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের অর্থ প্রায় তিন মাস পরও হাতে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ নামে ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগাপ্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত রয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণের জন্য রয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুন মাস এর মধ্যে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা রয়েছে।

প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিলো গত বছরের নভেম্বরে। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এই অর্থ বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড় দিয়ে থাকে। এর জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যথাযথ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অর্থ ছাড় দেওয়ার আবেদন করলে ওই ধাপের অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রকল্পের ১ম পর্যায় বা ধাপের প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকার জন্য সময়মতো কাগজপত্র জমা না দিতে পারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ টাকা ছাড় দেওয়া হয়নি। ফলে প্রকল্পের সময়সীমার মধ্যে ৩ মাস পার হলেও কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও অদক্ষতার কারণেই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের অর্থ যথাসময়ে পাওয়া যায়নি।’

এর সত্যতা মেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম-প্রধান কাজী মনিরুল ইসলামের কথাতেও। তিনি বলেন, ‘যথাযথভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টাকার জন্য আবেদন করতে পারেনি। তবে এ টাকা তারা চাইলে ২য় ধাপে যুক্ত করে নিতে পারবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রকল্প অনুমোদনের আগে কয়েকজনকে নিয়ে ঠিকই দ্রুত কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু তারা প্রকল্পটিকে নিজেদের সম্পত্তি বলে মনে করছেন। প্রস্তাবিত জমিতে প্রায় ২০ জন শিক্ষক নামে-বেনামে জমিও কিনে রেখেছেন।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে কাগজপত্র প্রস্তুত হয়ে আসতে সময় লাগায় প্রকল্পের প্রথম ধাপের টাকার জন্য আবেদন করতে পারিনি। আমরা দ্বিতীয় ধাপে প্রথম ধাপের টাকাসহ একসঙ্গে পেয়ে যাব।’

অন্যদিকে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে উন্নয়ন প্রকল্প-২ নামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ৬৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পায়। এ প্রকল্পে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কথা রয়েছে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ হবে বলে জানা যায়। এ প্রকল্পে অধীনে এখন বেশ কয়েকটি কাজ চলমান থাকলেও তা মন্থর গতিতেই চলছে।

এর মধ্যে ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল নির্মাণাধীন রয়েছে। আগের উপাচার্য ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ করে চলে যাওয়া পূর্বে এ হল নির্মাণের অফিস আদেশ দিয়ে যান। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য গত বছরের ৩১ জানুয়ারি যোগদান করার পরও তা চলছে কচ্ছপ গতিতে। শিক্ষক ক্লাব কাম ডরমেটরি নামে একটি ভবনের অফিস আদেশ আগের উপাচার্য করে গেলেও বর্তমান উপাচার্য তার এক বছরের মেয়াদে ভূমি সমান করা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি।

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন