বিজ্ঞাপন

‘মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য’

February 2, 2019 | 4:35 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। সরকারের একার পক্ষে এই বিশাল দায়িত্ব পালন করা কঠিন। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি বিশেষ এগিয়ে এলে সরকার নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে।

তিনি বলেন, যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে। তাই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুর দিনেই পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, যুগোপযোগী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সিলেবাস প্রণয়ন, ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান, দেশে ও বিদেশে ফেলোশিপ প্রদান, শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, মাদরাসা শিক্ষা আধুনিকায়ন প্রভৃতি কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড প্রায় চার হাজার দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে।

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই এবং এটি করতে হলে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা প্রয়োজন হবে সেটা হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বেঁচে থাকতে হলে এই শিক্ষা দিয়েই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। সে জন্যই আমরা শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছি।

তিনি বলেন, অতীতে আমাদের শিক্ষাখাতে চরম বৈষম্য ছিল। সেই বৈষম্য ছিল শহর ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের শিক্ষাখাতের এসব বৈষম্য অনেক কমিয়ে এনেছে। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করার পথ বন্ধ করা হচ্ছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে কোনো দুশ্চিন্তা করবে না। তোমাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুগান্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সরকার কেবল দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’ নামে একটি স্বতন্ত্র ট্রাস্ট চালু করেছে। এছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে ও বিদেশে মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’, ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট’, ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ চালু করেছে।

বিজ্ঞাপন

ডাচ-বাংলা ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. ডশরিন বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন