বিজ্ঞাপন

যৌন হয়রানির অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতার

February 4, 2019 | 9:51 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নারী সহকর্মীর প্রতি যৌন নিপীড়নমূলক আচরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন-এর সাংবাদিক এম এম সেকান্দারকে।

ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ২.৩০ মিনিটে র‌্যাব-০২ এর সদস্যরা অভিযুক্তের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

হাতিরঝিল থানার ওসি ফজলুল হক সারাবাংলাকে বলেছেন, এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিকে আমরা সেকান্দারকে গ্রেফতার দেখিয়েছি। ওই নারী শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে  গতকাল রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) মামলা দায়ের করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

থানার একজন এসআই জানান, সেকেন্দারকে হাতিরঝিল থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। পরবর্তী করণীয় কি তা পরে জানানো হবে।

এদিকে, থানায় অভিযোগকারী একুশে টেলিভিশনের নারী সহকর্মী সারাবাংলাকে বলেন, অফিসে প্রকাশ্যে এম এম সেকেন্দার শ্লীলতাহানি করেছে। সিসি ফুটেজ আছে। অনেকে সাক্ষী আছে। এমনিতেই তো থানায় মামলা করিনি।

একজন নারীর মর্যাদা রক্ষার জন্য সাংবাদিক সমাজকে পাশে চান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে অভিযুক্তের স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমিন সারাবাংলাকে জানান, বাড়ির দাড়োয়ানকে মারধর করে তাদের ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে কয়েকজন। দরজা না খোলায়, তারা দরজা ভেঙে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়।

নীলুফার ইয়াসমিন বলেন, এসময় র‌্যাব সদস্যদের আটকানোর চেষ্টা করলে তারা আমার চুল ধরে ফেলে দেয় এবং টানাটানিতে জামাও ছিঁড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, তার স্বামী গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট করেছে বলে প্রথমে জানায় র‌্যাব সদস্যরা। তবে তারা প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

সেকেন্দারের স্ত্রীর এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে র‌্যাব-২ এ ফোন করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: একুশে টিভির সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

এভাবে গ্রেফতার করায় সাংবাদিক নেতাদের উদ্বেগ:

অভিযোগের ভিত্তিতে এম এম সেকেন্দারকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সুর্য্য বলেন, একজন অভিযোগ করতেই পারে। তাই বলে  তদন্তের আগেই কাউকে গ্রেফতার করা ঠিক নয়। সাংবাদিক তো পরের কথা। অভিযোগটি হয়রানিমূলকও হতে পারে। তদন্তের আগেই রাতে বাসায় হানা দিয়ে সেকেন্দারকে গ্রেফতার করা কর্তৃপক্ষের উচিত হয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছি। সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চোধুরী সারাবাংলাকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া যেমন কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করা কাম্য নয় তেমনি অভিযোগকারীর অভিযোগ যদি সত্য হয় তবে সেটাও কাম্য নয়। সব কিছু নির্ভর করছে তদন্তের ওপর। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির সুরাহা হবে বলে জানান এই সাংবাদিক নেতা।

সারাবাংলা/ইউজে/এনএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন