বিজ্ঞাপন

বিএনপি এখন ‘বিহেডেড ন্যাশনালিস্ট পার্টি’

February 10, 2019 | 10:51 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপিকে ‘বিহেডেড ন্যাশনালিস্ট পার্টি’ বা মাথাবিহীন জাতীয়তাবাদী দল বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন শুধু জনবিচ্ছিন্নই নয়, দেশে-বিদেশে অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েছে। তারা বিহেডেড (মাথা ছাড়া) ন্যাশন্যালিস্ট পার্টিতে পরিণত হয়েছে। মাথা না থাকলে দেহ কিছুক্ষণ নড়াচড়া করে একসময় নিশ্চল হয়ে পড়ে। বিএনপির এখন সেই অবস্থা হয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মতিয়া চৌধুরী ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের শাহে আলম, মোসলেম উদ্দিন, হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি বিরোধী দলে থাকতে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে, ক্ষমতায় গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করে, হত্যাযজ্ঞ চালায়। ক্ষমতায় থাকতে ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেছে, জঙ্গিবাদ-বাংলা ভাই তৈরি করেছে, লুটপাটের চারণভূমি করেছে। বিএনপি বাংলার মানুষকে হত্যা ও দেশকে ধ্বংস করার লাইসেন্স নিয়ে ঘুরবে, তাদের জনগণ তাদের ভোট দেবে কেন? তাই নির্বাচনে দেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপিকে নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে  আমি বলব— আর নৈরাজ্যতে যাবেন না।  যত নৈরাজ্য করবেন, ততই আপনারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, গণহত্যাকারীদের দোসর জামায়াত বিএনপির বন্ধু। দিল মে পাকিস্তান পার্টিকে দেশের মানুষ আর কোনোদিন গ্রহণ করবে না। দেশ ধ্বংসকারীদের আর কোনোদিন ভোট দেবে না। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেটি আবারও প্রমাণ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিএনপির আসলে দেশকে নিয়ে কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই। তারা পেছনের দিকে দেশকে নিয়ে যেতে চায়। ডাক্তার যখন ভুল করে, একজন রোগী মারা যায়। আর একজন নেতা যখন ভুল করে, তখন সেই দলটি ছত্রখান হয়ে যায়। আর হাজার হাজার মানুষ তার মাসুল দেয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার জন্য বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের কাছাকাছি। এটা যদি আমরা অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে বিশ্বের ২৫টি উন্নত দেশের মধ্যে থাকবে বাংলাদেশ।

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, অনেকে ভেবেছিল, নির্বাচনের আগে আলোচনার কী দরকার। সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেখ হাসিনা সবাইকে শুধু আলোচনার টেবিলেই আনেনি, নির্বাচনেও এনেছেন। আমিও এতে (সংলাপ) অবাক হয়েছি। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার তারা (বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট) দাবি করেছে, এই নির্বাচন আবার নতুন করে দিতে হবে। তারা সিট পায়নি। অথচ দাবি করছে ইলেকশনে কারচুপি হয়ছে। অথচ তারা কারচুপির একটি ডক্যুমেন্টসও দেখাতে পারেনি। নির্বাচনের পর সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার মধ্যে সৌজন্য্যতাবোধের কোনো অভাব নেই। আর বিএনপির সবকিছুতে না বলার অভ্যাস। তারা মতবিনিময়েও যোগ দেয়নি। তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। আর সেখানে স্কাইপে বসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন