বিজ্ঞাপন

আগুন নিয়ন্ত্রণে, রাতেই চালু হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল

February 15, 2019 | 12:08 am

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাতেই চালু হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল। এরইমধ্যে পুরোপুরিভাবে চালু হয়েছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডগুলো বাদ দিয়ে অন্য ওয়ার্ডগুলোও ক্রমান্বয়ে চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০ টায় হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন- স্টোর রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত, ধারণা ফায়ার সার্ভিসের

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু আছে পুরোপুরি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালের প্রায় ১১শ রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক), মিটফোর্ড, কুর্মিটোলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসাতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কার্যক্রম চালু হয়ে গেছে পুরোপুরি। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডগুলো বাদে বাকি ওয়ার্ডগুলোর সেবাকাজও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- সোহরাওয়ার্দীতে আগুন, ঢামেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী স্থানান্তর

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, যখনই এই ঘটনা ঘটে তখনই আশেপাশে থাকা সরকারি-বেসরকারি সকল এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসকে আমরা ডেকেছিলাম সাহায্যের জন্য। কোনো আর্থিক সহায়তা না দিতে পারলেও তারা স্বেচ্ছায় এসে কাজ করেছেন মানবতার সেবাতে। এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সেই সময় এম্বুলেন্সগুলো যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবেই রোগীদের দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তাই আমরা এখনো সঠিকভাবে বলতে পারছি না কোন হাসপাতালে কত সংখ্যক রোগী আছে। তবে, এতটুকু বলতে পারি কোনো রোগীই এখন ক্রাইসিস মোমেন্টে নেই।

বিজ্ঞাপন

এই সময় তিনি বলেন, স্থানান্তর হওয়া রোগীদের যে সকল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে চাইলে তারা এখন ফিরে আসতে পারেন। আর যারা ফিরে আসতে চান না তারা সেসব হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। আমরা সংশ্লিষ্ট সকল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি এবং চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।

আরও পড়ুন:  হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, যখনই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তখনই খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। ফায়ার সার্ভিসের দক্ষ সদস্যরা অতি অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। এই সময়ে প্রায় ১১শ রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলো। একই সাথে এই হাসপাতালের আইসিইউ তে থাকা ১০ জন রোগীকেও অন্য হাসপাতালে  নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন- সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ১৪ ইউনিট

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, যে কোনও দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সশরীরে উপস্থিত থাকতে। তাই আমরা সবাই উপস্থিত হয়েছি। আমরা সবসময় প্রস্তুত যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলার জন্যে। এখানে যা ঘটেছে তাতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিবেন। ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন- সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনেরা

আগুনের উৎপত্তিস্থল নিয়ে তদন্তের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি আলী আহমেদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগুনটা আসলে কোথায় উৎপন্ন হয়েছে তা আমরা এখনো বলতে পারছি না। আমাদের এক্সপার্টরা এই বিষয়ে কাজ করছেন। উনারা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই আমরা বিষয়টি জানতে পারবো এবং আপনাদেরও জানাতে পারবো আসল কারণ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সকল রোগী ও তাদের স্বজনেরা সুশৃঙ্খলভাবে এক্সিট রুট দিয়ে বের হয়েছে। তাই, কেউ অগ্নিদগ্ধ হননি।

আরও পড়ুন- ‘এক হাজার রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে’

সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতাল পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়া, কলেজ অধ্যক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ চিকিৎসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএইচ/এসবি

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন