বিজ্ঞাপন

বাড্ডার ওসিসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১১ জানুয়ারি

December 3, 2017 | 12:12 pm

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

চাঁদাবাজি ও মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতনের ভয় দেখানোর অভিযোগে বাড্ডা থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আগামী ১১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন মহানগর হাকিম আদালত।

রোববার (০৩ ডিসেম্বর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন।

উত্তর বাড্ডার পূর্বাচল সড়ক এলাকার মিসেস নুরুন নাহার নাছিমা বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে গত ১১ জুন আদালতে এ মামলাটি করেন। বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মামলার আসামিরা হলেন, বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এম এ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দ্বীন ইসলাম, এএসআই মো. আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট জাহানারা রশিদ রূপা, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কাইচার এবং মো. শুক্কুর আলী। মামলায় পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামি জাহানারা রশিদ বাদী এবং বাদীর আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মামলা করেছেন। আসামি জাহানারা রশিদের বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। ডেসকো তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সে বাদীর কাছ থেকে সংযোগ নিতে চাইলে বাদী অপরাগতা প্রকাশ করেন। আসামি জাহানারা রশিদ বাড্ডা থানার পুলিশের সহায়তায় বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহনের জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।

গত ২৬ মে ওসি এম এ জলিলের আদেশে এএসআই আব্দুর রহিম বাদীর ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে বাসার চাবি নিয়ে যান। বাদী চাবি ফেরত চাইতে থানায় গেলে আব্দুর রহিম ওসি এমএ জলিলের জন্য দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর ১০ জুন এমএ জলিলের আদেশে বাদীর বাড়িতে এসআই শহীদ, এএসআই দ্বীন ইসলামসহ আরও তিনজন কনস্টেবল এবং সিভিল পোশাকে ৫-৭ জন এবং ৫ থেকে ৮ নং আসামিরা বাদীর অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে এসে তার ছেলে রবিন দেওয়ানকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলেন। রবিন সংযোগ দিতে অপরাগতা জানালে আসামি দ্বীন ইসলাম এবং শহীদ তাকে গালিগালাজ করে এবং মারপিট করে এবং বিদ্যু সংযোগ দিয়ে যায়।

আসামি দ্বীন ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময়ে বাদী এবং তার প্রতিবেশী হারিছ মিয়াকে হত্যার হুমকি এবং রবিনকে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যান।

সারাবাংলা/এআই/এমএম/আইজেকে/০৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন