বিজ্ঞাপন

কাদেরকে দেখে গেলেন ফখরুল-মওদুদ-মঈন

March 3, 2019 | 10:21 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদেরকে দেখে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ড. মঈন খানও এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।

রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা বিএসএমএমইউ পৌঁছান। রাত পৌনে ১০টার দিকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বিএসএমএমইউ হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)।

আরও পড়ুন- ‘অবস্থা উন্নতির দিকে, আপাতত সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে না কাদেরকে’

বিজ্ঞাপন

রাত সোয়া ১০টার দিকে বিএনপি নেতারা বিএসএমএমইউ ত্যাগ করেন। এসময় তারা গণমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বলার কিছুই নেই।’ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদও সাংবাদিকদের একই কথা বলেন।

রোববার সকালে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এনজিওগ্রাম করে চিকিৎসকরা তার হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক চিহ্নিত করেন। এর মধ্যে একটিতে স্টেন্ট (রিং) পরানোর পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। তবে পরে আবার তার রক্তচাপ কমে যায় এবং ইলেকট্রালাইট ইমব্যালেন্স দেখা দেয়। সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছেন, তার শরীরের অবস্থা উন্নতির দিকে। যে কারণে তাকে আপাতত দেশে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন- কাদেরের জন্য সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক বিএসএমএমইউতে

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে বিকেলে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউয়ে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া, ওবায়দুল কাদেরকে ভর্তির পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মী ও ভক্ত-অনুসারীদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। এর মধ্যে অবশ্য বিএসএমএমইউ উপাচার্য একাধিকবার সাংবাদিকদের মাধ্যকে সবার কাছে আহ্বান জানান, সুচিকিৎসার জন্য যেন সবাই হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এত মানুষের ভিড়ে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি কেউ।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া নিজে উপস্থিত হয়ে নেতাকর্মী ও দর্শনার্থীদের বিএসএমএমইউ হৃদরোগ বিভাগ থেকে সরিয়ে দেন। বিএনপি নেতারা যখন ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যান, ঠিক ওই সময় নাগাদ দর্শনার্থীদের সবাইকে বের করে দেওয়া হয় ওই এলাকা থেকে।

আরও পড়ুন- ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার

এদিকে, শারীরিক অবস্থা টানা স্থিতিশীল না থাকায় সিঙ্গাপুরে নেওয়া যায়নি ওবায়দুল কাদেরকে। পরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উড়িয়ে আনা হয় বিএসএমএমইউয়ে। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা বিএসএমএমইউ পৌঁছান। পরে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই পক্ষই ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মত দেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান। পরে বিএসএমএমইউ উপাচার্য ব্রিফিংয়ে জানান, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি অব্যাহত আছে। আপাতত দেশে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে তাকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন