বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ইউএসএআইডি’র কর্মসূচি পরিদর্শন

March 8, 2019 | 10:20 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এ সপ্তাহে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে ইউএসএআইডি’র বেশকিছু কর্মসূচি পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি রাঙ্গামাটির জনগণ, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইউএসএআইডি’র মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।

এসব সাক্ষাৎ ও আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী অংশীদারদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কাজে সহযোগিতা করতে ঘনিষ্ঠভাবে  কাজ করছে।

সফরে রাষ্ট্রদূত মিলার স্থানীয় লোকালয়ে টেকসই জীবিকার ব্যবস্থা, জীববৈচিত্র্য ও পানির উৎসের জন্য অনুকূল বন ব্যবস্থাপনা এবং উপার্জন বৃদ্ধি লক্ষ্যে ইউএসএআইডি’র কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন। ইউএসএআইডি শাক-সবজি চাষ এবং হাঁস-মুরগি, শূকর ও ছাগল পালনের মাধ্যমে স্থানীয় ২৪ হাজার মানুষকে জীবিকা অর্জনে সহায়তা করেছে। ইউএসএআইডি’র কর্মসূচি এখানকার মানুষের জন্য নিরাপদ পানীয় জল পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করেছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে কাঠ ও অন্যান্য বনজাত পণ্যের ওপর এলাকাবাসীর নির্ভরশীলতা কমিয়েছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশ বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে সংরক্ষিত বনে ৬২৫ হেক্টর জমিতে বৃক্ষরোপণও করেছে। এ বছর আরও ৯২০ হেক্টরে পুনঃবনায়ন করা হবে।

রাষ্ট্রদূত মিলার এ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার দক্ষতা বৃদ্ধিতে চলমান প্রচেষ্টা সম্পর্কেও অবহিত হন। তিনি ও মিশন পরিচালক ব্রাউন জরুরি সেবাকর্মীদের জন্য ইউএসএআইডি’র প্রশিক্ষণ দেখতে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এই প্রশিক্ষণ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল জুড়ে কোনো দুর্যোগের পর বড় ধরনের হতাহতের মতো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

এই সফর বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সহযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ৭শ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়েছে। ২০১৮ সালে ইউএসএআইডি উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে প্রায় ২১ কোটি ৯০ লাখ ডলার দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চাকে এগিয়ে নেওয়া, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচিতে এ অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন