বিজ্ঞাপন

‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে’

March 8, 2019 | 2:43 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, নারীর সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ম ও শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে, বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশন আয়োজিত ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, জনজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমতা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ আছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। দেশের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট সব সময়ই নারী পুরুষের সমতা ও জনজীবনের সর্বস্তরের নারীর সম-অংশগ্রহণের নীতিকে সমর্থন করে।

বিজ্ঞাপন

সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব বলে এসময় জানান তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর সাফল্য অগ্রগতি ইতিবাচক। পোশাক শিল্পে নারীদের ভূমিকা সকল মহলে প্রশংসিত। এই শিল্প থেকে বৈদেশিক আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হচ্ছে।

এছাড়া, নারী বিচারকেরা তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেও মনে করেন প্রধান বিচারপতি।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ২০১১ সালের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় জীবনের সর্বত্র নারীদের অংশগ্রহণের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই বিচার বিভাগে নারীদের অংশগ্রহণ অন্যান্য পেশার মত লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বিচার বিভাগে সাড়ে ২৭ শতাংশ নারী বিচারক রয়েছে। যা ইউরোপ, আমেরিকা বা আমাদের প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি।

বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাগবে এবং হয়রানিমূলক মামলা কমিয়ে স্বল্প ব্যয়ে ও সময়ে মানুষকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যায় তা খেয়াল রাখতে বিচারকদের প্রতি এসময়  আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।

শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের সদস্য ও সিনিয়র জেলা জজ তানজীনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, বিচারপতি ফাতেমা নজীব।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/এনএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন