January 22, 2018 | 4:07 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাটিংয়ে বড় অনেক রেকর্ডই তার। টেস্ট, ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান, তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি... তামিম ইকবালের ব্যাট চওড়া হয়েছে সময়ের সাথে সাথে। কিন্তু সেই তুলনায় স্বীকৃতি কি মিলেছে খুব একটা? ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও তো ৮৪ রান করে করার পরও ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পাননি। তবে তামিম ইকবাল এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন। আনুষ্ঠানিক পুরস্কার নয়, তার কাছে স্বীকৃতিটাই বড় কথা।
প্রথম দুই ম্যাচে তামিম ৮৪ রান করার পরও সেরার স্বীকৃতিটা গেছে সাকিবের কাছে। ১৮ বার ওয়ানডেতে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন সাকিব, তামিমের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১১। কিন্তু আনুষ্ঠানিক এসব অর্জন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না তামিম, আজ সংবাদ সম্মেলনে সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আই অনলি বিলিভ এন রিওয়ার্ডস নট অ্যাওয়ার্ডস।’
পুরস্কারটা না হয় বাদ থাক, স্বীকৃতিটা তো নিশ্চয় ভালো লাগার। তামিম না পেলেও সাকিব-মুশফিক গত বছর যা পেয়েছেন অনেক দিক থেকেই। গার্ডিয়ান, ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে জায়গা পেয়েছেন সাকিব, মুশফিক। কিন্তু আইসিসির একাদশে দুজনের কেউই জায়গা পাননি। তামিম অবশ্য এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।
‘আইসিসি’র কথা বাদ দেই। অনেকে বেস্ট ইলেভেন করে, ক্রিকইনফো করে, নিউজপেপার করে ওখানে কিন্তু আগে বাংলাদেশি প্লেয়ার দেখা যেত না। যেভাবে শেষ বছরটা গেল, এভাবে একটা সময় না একটা সময় গিয়ে আমরা অ্যাওয়ার্ড পাব।’
তামিম তাই এই পুরস্কার নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না, ‘আইসিসি অ্যাওয়ার্ড পেতে হলে খুব খুব ভালো কিছু করতে হবে। দেখেন যারা ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তারা অনেক রান করেছে। বেস্ট টেস্ট টিমে ছিল, বেস্ট ওয়ানডে টিমে তারা কিন্তু সবাই ডিসার্ভ করে। আমি বলছি না সাকিব-মুশফিক ডিসার্ভিং না, তারাও ডিসার্ভিং। বেশিদিন নেই বেস্ট টেস্ট টিমে দুইজন বাংলাদেশি বা তিনজন বাংলাদেশি। আগামী বছরগুলো ভালো গেলে স্বীকৃতি চলে আসবে।’
বছরের শুরুটা যেভাবে হয়েছে, তামিমের নামও তো সেখানে আসতেই পারে!
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি