বিজ্ঞাপন

পথ যাত্রীদের জিম্মি করে রমরমা ব্যবসা

March 22, 2019 | 3:32 am

আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে সড়ক পথে দীর্ঘ যাত্রার জন্য প্রধান অবলম্বন সড়ক পথে বাস যাত্রা। উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চলে সড়ক পথে কোথাও কোথাও গন্তব্যে পৌঁছাতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এজন্য বাসগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর পরেই ২০ মিমিট যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে গড়ে ওঠেছে পথ হোটেল/যাত্রা বিরতি নামে বেশ কিছু হোটেল।

বিজ্ঞাপন

সেই হোটেল গুলোতে খাবারের গলাকাটা দাম রাখা হয় বলে প্রায়ই অভিযোগ করেন পথ যাত্রীরা। যাত্রা বিরতির জন্য পূর্বে চুক্তি মতো ওই রুটের সব বাস হোটেলের সামনে থামানো হয়। যার ফলে যাত্রীরা উপায় না পেয়ে খাবার কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যান। এর মাশুল গুণতে হয় পথ যাত্রীদের তিন/চার গুণ টাকা পরিশোধ করে।

কিন্তু এসব খাবারের দাম মোটেও গুণতে হয় না বাসের ড্রাইভার-হেলপারদের। বরং এসব স্থানে বাস থামানোর জন্য হোটেলের পক্ষ থেকে ফ্রি খাবার খাওয়ানো হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে হাইওয়ে রাস্তার পাশে বেশ কিছু যাত্রা বিরতির হোটেল ও ছোট দোকান গড়ে ওঠেছে। সেই হোটেল ও ছোট দোকানের খাবার দাম রাখা হচ্ছে ইচ্ছে মতো।

বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জের ফুট ভিলেজ হোটেলের সামনে ছোট দোকান গুলির খাবার দাম এত রাখা কেন হয়? জানতে চাইলে, দোকানদাররা জবাবে দেন, দাম এটেই। ইচ্ছা হলে খাবার কিনে খান, নয়তো চলে যান।

যাত্রা বিরতির শেষে বাসের ওঠার জন্য অপেক্ষমান শারিয়ার নাফিজ সারাবাংলাকে বলেন, হোটেলের ভিতরে খাবারের অনেক দাম। এর চাইতে বাহিরের ছোট দোকানের খাবারের দাম কিছুটা হলেও কম। বাহিরের দোকানগুলোর সব পণ্যে দাম ৫/১০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। আর ভিতরের কথা কি আর বলবো? দুটো পরোটা আর সবজীর দাম ৬০/৭০ টাকা করে রাখছে। অন্যান্য খাবারের দাম এতো বেশি যে তার কথা না বলাই ভালো।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, যেহেতু দীর্ঘ যাত্রা করতে হচ্ছে কিছু না কিছু তো খেতেও হবে। তাই দাম বেশি রাখলে কিছুই করার নেই। হোটেল ও দোকানগুলো দীর্ঘ সময়ের পথ যাত্রীদের থেকে খাবারের বিনিময়ে জিম্মি করে টাকা আদায় করে চলেছে। এখানে দেখার কেউ নেই, বলারো কেউ নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ফুট ভিলেজের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এখানের খাবারে দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে। সেটা আমরাও বুঝি। সাধারণ যাত্রীদের খেতে কষ্ট হয়। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই, এটি মালিক পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বার বি কিউ হোটেলের সামনের দোকানদার মিরাজ বলেন, আমাদের অনেক টাকা দিয়ে এখানে বসতে হয়েছে। তাই কিছুই করার নেই। খাবার দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে। এতে সাধরণত যাত্রীদের অসুবিধা হলে আমাদের কিছুই করার নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এমআরপি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন