বিজ্ঞাপন

নতুন নির্বাচনের দাবিতে এপ্রিলে আন্দোলনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট

March 22, 2019 | 6:35 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পুরো এপ্রিল মাস বিভাগীয় ও জেলা শহরে গণশুনানি ও কর্মিসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গণশুনানির প্রতিবেদন বাংলায় এবং ইংরেজিতে প্রকাশ করে তা বিদেশে পাঠানোর ঘোষণা দেয় দলটি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২২ মার্চ) পুরানা পল্টনে প্রীতম জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অফিসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঐক্যফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

ঐক্যফ্রন্টের অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ মার্চ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ৩০ মার্চ মানববন্ধন, ৩১ মার্চে কর্মিসমাবেশ।

কর্মসূচি ঘোষণার আগে স্টিয়ারিং কমিটি একঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে কর্মসূচির দিনক্ষণ ঠিক করে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা ইকবাল সিদ্দিকী।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করা সম্ভব কি না, সারাবাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘জনগণ আন্দোলন করবে আমরা তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করব।’

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা দাবি করেছিলাম নতুন নির্বাচনের, সরকার কর্ণপাত করেনি। আমরা আমাদের দাবিতে এখনো অনড় রয়েছি।’

ডাকসুতে ভোট ডাকাতি হয়েছে অভিযোগ করে রব বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভোটাররা ভোট দিতে যায়নি। ভোটকেন্দ্রে কুকুর শুয়ে আছে, নিরাপত্তাকর্মীরা ঘুমুচ্ছে এমন ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।’

জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘দেশে অহরহ অপহরণের ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধার করতে পারছে না। এর রহস্য কী? স্বাধীনতার খণ্ডিত ইতিহাস প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ হতাশ। একদলীয় নয়, বরং এক ব্যক্তির শাসনে দেশ চলছে।’

রব আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলো থেকে টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে। সেই টাকা ফেরত আসার কোনো সম্ভাবনা পর্যন্ত নেই। অর্থ লুটেরাদের ক্ষমা করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে গরিব কৃষকদের ঠিকই গ্রেফতার করছে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টে অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর মধ্যে বিএনপিও রয়েছে।

বিএনপির নির্বাচনি প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট সাতটি আসন পায়। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপির পাঁচটি ও গণফোরামের দুইটি আসন।

সারাবাংলা/টিএস/এএইচএইচ/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন