বিজ্ঞাপন

‘সরকারকে সরানো ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়’

March 25, 2019 | 8:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার মানে জনগণের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা। কিন্তু আমরা স্বাধীনভাবে কি বাঁচতে পারছি? এই জালেম সরকার মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারছে। তারা বলছে, দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সেটা বিশ্বের রোল মডেল। উন্নয়ন হয়েছে কথায় আর দুর্নীতির। যে উন্নয়নের মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী থেকে আরও ধনী হয়ছে। তাই জনগণের মুক্তির জন্য এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর বিকল্প নেই।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান ছদ্মবেশে আবারও বাকশাল গড়ে তুলেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এই আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এসে আওয়ামী লীগ আবারও নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। একইসঙ্গে তারা ছদ্মবেশে একটি বাকশাল গঠন করেছে। আজ তাই স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে ভূলুণ্ঠিত। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলছে সরকার। সাধারণ নাগরিক যে চিকিৎসা পায়, সেটাও তিনি পাচ্ছেন না। তাই দুর্বার আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি মানবিক, সাংবিধানিক ও মৌলিক সব অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকার স্বাধীনতাকে বিকৃত করে জনগণকে ভুল বোঝাচ্ছে। সারাবিশ্ব জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মানলেও সরকার মানছে না। তাই এই সরকার ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাচ্ছে। তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিমানবন্দর বা জাদুঘর থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেললেও জনগণের হৃদয় থেকে সেটা মুছে ফেলা যাবে না।

বাংলাদেশ অস্বাভাবিক অবস্থায় চলছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকারের মন্ত্রিসভাও অস্বাভাবিক। ডাকসু নির্বাচনে যা হয়েছে, সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল। আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে দেশ গণতন্ত্র-শূন্য হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন