বিজ্ঞাপন

২১৬ রান যথেষ্ট বাংলাদেশের জন্য?

January 23, 2018 | 3:43 pm

বিশেষ প্রতিনিধি, মিরপুর থেকে

বিজ্ঞাপন

ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন এখানে

এ যেন আকাশে উড়তে থাকার সময় হঠাৎ করেই দুই ডানা হারিয়ে ফেলা। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের জন্য এর চেয়ে লাগসই উপমা বোধ হয় আর হয় না। আগের দুই ম্যাচে যে ব্যাটিংটা মনে হচ্ছিল জলবত তলরং, আজ সেটিই হয়ে গেল অক্সিজেন ছাড়া পর্বতে ওঠার মতো কঠিন।

৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ২১৬ রান করার পর অনেক প্রশ্নও তো উঠে গেল এই ইনিংসে।

বিজ্ঞাপন

মাশরাফি বিন মুর্তজা কি উইকেটটা পড়তে ভুল করেছিলেন? এই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসটা ঝালাই করার জন্য কি আরেকটু ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলানো যেত না? আর উইকেট না হয় কঠিন ছিল, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও কি দায় নেই?

প্রথম দুই প্রশ্নের উত্তর টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো দিতে পারবে। কিন্তু শেষের প্রশ্নটার জন্য সানজামুল-মোস্তাফিজদের ইনিংসের দিকে তাকালেই পাওয়া যাবে উত্তর। শেষ দিকে নেমে টপ অর্ডারের অনেককে লজ্জা দেওয়ার মতো যে ইনিংস দুজন খেলেছেন, তাতেই ২০০ করে মুখ রক্ষা হয়েছে বাংলাদেশের।

ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন এখানে

বিজ্ঞাপন

দায়টা কি তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানেরও একটু নয়? দুজন দারুণ ফর্মেই ছিলেন, এনামুল হক বিজয় দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর খেলছিলেনও স্বচ্ছন্দে। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরেই যেন হঠাৎ করে খোলসে ঢুকে গেলেন দুজন। রান নেওয়া হয়ে উঠল ভীষণ কঠিন, রাজা-ওয়ালারের তো পর পর দুই ওভারে কোনো রানই হলো না। শেষ পর্যন্ত সাকিব ফিফটি পেলেন, কিন্তু জমে থাকা চাপটাই যেন কাল হয়ে উঠল। রাজাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়েই হয়ে গেলেন স্টাম্পড। ৮০ বলে ৫১ রানের ইনিংসটা আর যাই হোক, ঠিক সাকিবসুলভ ছিল না।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে লাইভ ম্যাচ দেখুন এখানে

তামিম অবশ্য আগের ম্যাচেও শুরুতে স্লথ ছিলেন, পরে তা পুষিয়ে দিয়েছেন। সাকিবের মতোই ফিফটি পেয়েছেন ঠিক ৭৮ বলে, এরপর অবশ্য স্ট্রাইক রেটটা বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যেই এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ছয় হাজার এসব রেকর্ডও হয়ে গেছে। ফিফটি বা ছয় হাজার রানেও ব্যাটটা উঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সেই সেঞ্চুরি আর পাওয়া হলো না। দায়টা নিজেকেই নিতে হবে, ক্রেমারের গুগলিটা বুঝতে না পেরে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে হয়ে গেছেন স্টাম্পড।

বিজ্ঞাপন

তখনও অবশ্য বোঝা যায়নি, বাংলাদেশের এত বড় ধস আসছে। মুশফিকের শুরুটা ভালোই ছিল, কিন্তু ক্রেমারের বলে পেস বুঝতে না পেরে ক্যাচ দিয়েছেন ২৫ বলে ১৮ রান করে। মাহমুদউল্লাহও ক্রেমারের গুগলি বুঝতে না পেরে এলবিডব্লু ২ রানে, তার খানিক পরেই ফিরে যান তামিম। ১০৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে তৃপ্তির চেয়ে অনেক বেশি আফসোসই থাকবে। ১৬৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এমন পরিস্থিতিতে সুযোগটা ছিল সাব্বির-নাসিরের। দুজন প্রথম দুই ম্যাচে সেভাবে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। কিন্তু আজ সুযোগ পেয়েও পায়ে ঠেললেন। সাব্বিরেরটা অবশ্য দুর্ভাগ্যই, জার্ভিসের বলে আরভিন শর্ট মিড উইকেটে যে ক্যাচ নিয়েছেন, সেটা অনেক দিন মনে রাখার মতো। কিন্তু নাসির আরও একবার ব্যর্থ, দায়টা, দায়টা নিজেকেই নিতে হবে। জার্ভিসের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন ২ রান করে। মাশরাফিও ফিরে যান কোনো রান না করে, হঠাৎ করেই ১৭০ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে রান যে ২০০ পেরুল, মূল কৃতিত্ব সানজামুল-মোস্তাফিজের। দুজন নবম উইকেটে যোগ করেছেন ২৬ রান। তবে আসল রোমাঞ্চ বাকি ছিল তখনও। জার্ভিসের শেষ ওভার থেকেই চার-ছয়ে মোস্তাফিজ-রুবেল নিয়েছেন ১৩ রান। কিন্তু ২১৬ রান কি আদৌ জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে?

ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন এখানে

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন