বিজ্ঞাপন

এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ১৯ লাশ উদ্ধার: ফায়ার সার্ভিস

March 28, 2019 | 8:00 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বনানীর এফআর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এই পর্যন্ত ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে রাতে পৌনে দশটা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযানে এই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এফআর টাওয়ারের সামনেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে টানানো হয়েছে একটি বোর্ড। সেখানে আহত এবং নিহত ব্যক্তিদের হিসাব রাখা হচ্ছে।

সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয় ৪ জনকে,  এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ২ জনকে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয় ৪২ জনকে, এরমধ্যে এক শ্রীলংকার নাগরিককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয় ৫ জনকে,  এরমধ্যে মৃত ঘোষণা করা হয় ৩ জনকে।  ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী মোট নিহতের সংখ্যা ১৯ জন।  এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭০ জন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে,  হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমেনা এবং বনানী ক্লিনিকে মারা গেছেন পারভেজ সাজ্জাদ নামে আরও দুজন। এই হিসাবে মোট মৃতের সংখা দাঁড়ায় ২১ জনে।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এফআর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এছাড়া আবু হোসেন ও রেজাউল আহমেদ নামে দুইজনকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদের তিনজনই পুরুষ। এরা হলেন, মনির (৫০), মামুন (৩৬) ও মাকসুদুর রহমান (৩২)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক শ্রীলংকার নাগরিককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যে ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা, তার নাম নিরেশ ভিগ্নে রাজা। বয়স প্রায় ৩৫ বছর। তার বাড়ি শ্রীলংকায়। ভবনটির ১০ তলায় স্ক্যানয়েল লজিস্টিকস বাংলাদেশ নামে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট অফিসে চাকরি করতেন তিনি। সূত্র জানিয়েছে, আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ে মারা গেছেন নিরেশ।

আরও পড়ুন: এফআর টাওয়ারে আগুন, ৭ জনের মৃত্যু

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এটি/এমএনএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন