বিজ্ঞাপন

আট তলা থেকেই আগুনের শুরু, গণশুনানিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা

March 31, 2019 | 12:41 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে ওই ভবনের কর্মরতদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। গণশুনানি শেষে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়জুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আট তলা (সেভেন ফ্লোর) থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২ টায় সাংবাদিকদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত সচিব ফয়জুর রহমান।

আরও পড়ুন: বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন, প্রতি মুহূর্তের আপডেট

বিজ্ঞাপন

ফয়জুর রহমান বলেন, আমরা মোট ২৪ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছি। তারা কেউ আট তলায় কাজ করতেন না। প্রত্যক্ষদর্শীরা ৯, ১০ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লোরে কাজ করছিলেন। ৯ ও ১০ তলার লোকজন আগুন লাগার পর নিচে নামতে দেখতে পেয়েছেন যে, নিচ তলা অর্থাৎ আট তলা আগুন জ্বলছে। এ সময় তারা প্রচণ্ড ধোঁয়াও দেখতে পান। পরে তারা ওপরের দিকে উঠে পাশের ভবন ব্যবহার করে বের হয়ে আসেন। তারা বলেছেন, আট তলায় বায়িং হাউজ স্পেক্ট্রা ইসেনসিয়াল থেকেই আগুন লেগেছে। আগুন লাগার কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: বনানীতে আগুন: স্ক্যানওয়েল লজিস্টিকসের ৩ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২

অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা বললেও আমরা এখনই এই সিদ্ধান্তে যাচ্ছি না। আমরা তাদের বক্তব্য শুনেছি, তারা বলেছেন আগুন আট তলা থেকেই লেগেছে। আগামীকাল আট তলার কর্মরত ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনব। এরপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শুনানিতে আট তলার একজন গার্ড ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আট তলার গ্লাসের ভেতর থেকে তিনি আগুন দেখতে পেয়েছেন। এক পর্যায়ে তাপে গ্লাস ভেঙে যায়। ভবন মালিকদের কাছে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এখনো পাইনি। গতকাল ভবন মালিকদের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনেছি আমরা। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ৩ এপ্রিল, আমরা নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেবো।

এক প্রশ্নের জবাবে ফয়জুর রহমান বলেন, গণশুনানির ভিত্তিতে সুপারিশমালাও দেওয়া হবে। দুর্ঘটনার পরদিন থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি। শুনানিতেই উঠে এসেছে, গ্লাস ঘেরা ভবন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল। ফলে আটকা পড়া ব্যক্তিরা সাফোকেশনে মারা গেছেন। ওই ভবন থেকে যারা কষ্ট করে বের হয়ে আসতে পেরেছে তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পরে তারা ফায়ার এলার্ম শুনতে পাননি। তারা বের হতে চাইলে দেখেন জরুরি বহির্গমন পথ (ইমার্জেন্সি এক্সিট) সরু। সেই পথ কোনো কোনো ফ্লোরে বন্ধ ছিল। পথটি সোজা ছিল না এবং কোন দিকে যেতে হবে সেই নির্দেশনাও ছিল না।

আমরা পুরো ভবন ঘুরে দেখেছি, আগুন লাগার পর কোনো তলাতেই হোস পাইপ ব্যবহার করা হয়নি। কোনো কোনো তলায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পাওয়া গেলেও তা ব্যবহার হয়নি ফয়জুর রহমান।

অন্যদিকে ছয়জনের সাক্ষ্য নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের বর্ণনায় উঠে এসেছে আট তলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর নিয়াজ আহমেদ বলেন, এখনই সিদ্ধান্ত জানানো যাবে না। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, আট তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আমরা আরও সাক্ষ্যগ্রহণ করব।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ/এটি

 

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন