বিজ্ঞাপন

গাধা জল ঘোলা করে খায়, খালেদার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী

April 1, 2019 | 10:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আজ (সোমবার, ১ এপ্রিল) খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে গেলেন। গাধা জল খায়, কিন্তু ঘোলা করে খায়।

সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ  হোসেনের সংবর্ধনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় মোশাররফকে এই সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছিলেন, খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে হবে। কোনোভাবেই খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন না। তার জন্য গত একমাস ধরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের দু’টি কেবিন বরাদ্দ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না বলেছিলেন।’

‘শেষ পর্যন্ত তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানে গেলেন। গাধা জল খায়, কিন্তু ঘোলা করে খায়। মির্জা ফখরুল সাহেবও কথা ঘুরিয়ে দিয়ে বলেছেন, এখানে যেন তার ভালো চিকিৎসা হয়,’— বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক যখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন তো তাকে স্কয়ার কিংবা ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তার বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতাল অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে যে বিশ্বমানের চিকিৎসা হয়েছে বলেছেন সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসক দল এবং ভারত থেকে আসা বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট। আর সেখানে খালেদা জিয়া যাবেন না বলেও শেষপর্যন্ত গেছেন। অর্থাৎ গাধা যে জল ঘোলা করে খায়, সেটি আবার তারা প্রমাণ করলেন।’

বিজ্ঞাপন

এসময় বিএনপিকে খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা আর কোমরের ব্যথা বাদ দিয়ে গণমুখী রাজনীতি করার পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সারাজীবন রাজনীতি করেছেন। তার বাবাও সংসদ সদস্য ছিলেন। তাদের বিত্তবৈভবের অভাব ছিল না। কিন্তু বিত্তবৈভব থাকার পর কারও কারও মধ্যে যে অহমিকা থাকে, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মধ্যে আমরা সেটি দেখিনি। গণমানুষের সাথে মেশার ক্ষেত্রে অনেকের যে সীমাবদ্ধতা থাকে, সেটাও তার কাছে আমরা দেখিনি। সব মানুষকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে। মোশাররফ ভাইয়ের মতো মুক্তিযোদ্ধারা জাতির জনকের নেতৃত্বে যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে এবার পদক পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদও।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত মোশাররফ বলেন, ‘এই পদক শুধু আমাদের পদক নয়। এটা চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবারের সবার পদক। আমরাই শুধু সম্মানিত হইনি, পুরো চট্টগ্রামবাসী সম্মানিত হয়েছে।’

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেই শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ‘এত কষ্ট, এত আত্মত্যাগ, ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি। আসুন আমরা আজ শপথ করি, আগামী দিনে এই বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছাড়া আর কেউ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বক্তব্যের মঞ্চে যা বলি, তা ধারণ করি না। আমাদের সমস্যা আছে। বিভিন্ন নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি না। উপরন্তু নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য সব ধরণের চেষ্টা করি।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন