বিজ্ঞাপন

‘গণসংহতি আন্দোলন’কে নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশ

April 11, 2019 | 5:38 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জোনায়েদ সাকি নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

বিজ্ঞাপন

ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে জানান তিনি।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি।

পরে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধি, ২০০৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই আবেদনে। ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতি আন্দোলনকে।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয় ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ আবার তা একই বছরের ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। কিন্তু এরপরও নিবন্ধন না দিয়ে দলটির পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে দেন নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। পরে তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ১১ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে দলটির নিবন্ধন না দেওয়া সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর দীর্ঘদিন ওই রুলের শুনানি শেষে আজ রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন