বিজ্ঞাপন

মিডল অর্ডার নিয়ে চিন্তিত মাশরাফি

January 25, 2018 | 6:31 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

প্রায় আক্ষরিক অর্থেই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের ব্যাটে চড়েই প্রথম তিন ম্যাচ পার হয়েছে বাংলাদেশ। একটা ম্যাচে তামিম-সাকিব রান করতে পারলেন না, সেই ম্যাচেই ভরাডুবি বাংলাদেশের। মিডল অর্ডার দরকারের সময়ও ব্যর্থ দায়িত্বটা পালন করতে। বিশেষ করে সাব্বির-নাসিরকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল আরেকবার।

মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য ঠিক বুঝতে পারছেন না, দুজনের না পারার কারণ কী। এনামুল হক বিজয়ও এত সুযোগ পাওয়ার পর প্রমাণ করতে পারলেন না, নিজের জন্যও আশার বাণী শোনাতে পারলেন না।

ম্যাচের হাইলাইটস

বিজ্ঞাপন

সাব্বির-নাসিরের জন্য আজকের ম্যাচটা হতে পারত রান করে থিতু হওয়ার জন্য আদর্শ মঞ্চ। কিন্তু রান তো পাননি, বিশেষ করে যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হচ্ছে দুজনকে। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ১৫ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি সাব্বিরের। নাসির সর্বশেষ ফিফটি পাওয়ার পর পেরিয়ে গেছে সাড়ে চার বছরেরও বেশি। চাপটা নিতে পারছেন না, নাকি টেম্পারমেন্টের জন্য সমস্যাটা হচ্ছে, সেটা নিয়েও একটু দ্বিধান্বিত মাশরাফি।

‘যে দুটো জিনিস বলেছেন এমনটা হতে পারে। মেন্টালি এই চাপটা নিতে পারছে কিনা, আরেকটা হচ্ছে টেম্পারমেন্ট। হয়তো তারা রানটাকে বেশি পছন্দ করে, সময় কাটানোর চেয়ে মনে করে রানটা দ্রুত এলে তাড়াতাড়ি সেট হয়ে যেতে পারে। ফার্স্ট ক্লাসেও যদি দেখেন তিন, চার উইকেট পড়ার পরও স্ট্রাইকরেট কিন্তু ১০০ থাকে। কাজেই ওই অভ্যাসটা আমাদের কম। এমনকি ওয়ানডে ম্যাচেও যে কখনো কখনো উইকেট পড়ে গেলে ছোট সময়ের জন্য উইকেটে সেট হয়ে রান করা, ওই অভ্যাসটা হয়তো প্রকৃতিগতভাবে আমাদের ক্রিকেটে একটু কম আছে।’

মাশরাফি চান ফাইনালে দুজন নিজেদের ফিরে পাবেন, ‘আমার মনে হয় ওরা নিজেরাও খারাপ ফিল করছে আমার থেকেও। আমি চাইব যে ফাইনালের আগে এটা নিয়ে তারা চিন্তা করুক।’

বিজ্ঞাপন

মাশরাফির সংবাদ সম্মেলন

মিডল অর্ডার নিয়ে তাই চিন্তার কারণ দেখছেন মাশরাফি, ‘ মিডল অর্ডার যে সুযোগ পায়নি তা নয়। জিম্বাবুয়ের সাথেও তারা সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। আজও তাই হয়েছে। যদি বলি দুশ্চিন্তার জায়গা আছে তা বললেও ভুল হবে না। আমি মনে করি টপ অর্ডারে সাকিব আল হাসান আসার পর আমরা যেটা চেয়েছি ঠিক সেটাই তারা ডেলিভারী দিতে পেরেছে। এখন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের একটু দায়িত্ব নিতে হবে। এমন না যে তারা অনুশীলনে যেটা চাচ্ছে সেটা হচ্ছে না। কিংবা নেটে যেটা চাচ্ছে সেটা হচ্ছে না। হয়তো করছে ঠিকই কিন্তু মূল জায়গায় এসে এক্সিকিউশন ঠিক মতো হচ্ছে না। আমার কাছে মনে হয় মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। ভাগ্যও পক্ষে থাকতে হবে।’

গুনাথিলাকার সংবাদ সম্মেলন

প্রশ্ন উঠল এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও। তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে এই সিরিজটা হতে পারত নিজেকে থিতু করার মোক্ষম একটা উপলক্ষ। মাশরাফি অবশ্য নিশ্চিত নন, চার ইনিংসের পর বিজয় আদৌ সুযোগ পাবেন কি না। তবে এখনো আস্থা রাখছেন, ‘আসলে নিশ্চিত না। এখন তো কেবল খেলাটা শেষ করে আসলাম। এটা নিয়ে ভাবার বিষয় আছে। বিজয়কে নিয়ে তো অনেক কথা হয়েছে, সে ঘরোয়া সব পর্যায়ে রান করেছে, বিপিএল বলেন, ফার্স্ট ক্লাস বলেন। আপনারাই তাকে এক্সপোজ করেছেন। তার উপর পূর্ণ আস্থা ছিল। তাকে নিয়মিত খেলিয়ে যাচ্ছি। সে যতক্ষণ আছে অবশ্যই আমরা তাকে ব্যাকআপ করছি। কঠিন সময় যেতে পারে। এমন না যে ফার্স্ট ক্লাসে রান করে এসেই আপনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে রান করবেন। আমাদের ফার্স্ট ক্লাসের সঙ্গে একটা গ্যাপ অবশ্যই আছে।’

বিজ্ঞাপন

ফাইনালেও সেই সুযোগটা হেলায় হারালে তিন জনের ওপর চাপটা বাড়বে আরও।

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন