বিজ্ঞাপন

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে তাকিয়ে বিসিবি

April 13, 2019 | 8:04 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

এই মুহূর্তে দেশে যতগুলো ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে তার সত্বাধীকারী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এনএসসি। তাদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে স্টেডিয়ামগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে খেলা পরিচালনা করে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো একমাত্র সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি বাদে বাকি সবকটি স্টেডিয়ামেরই বেহাল দশা।

বিজ্ঞাপন

কোনোটির গ্যালারির আসন ভেঙে চৌচির, কোনোটিতে ভারী বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, কোনোটির টয়লেটে মাকড়শা-তেলাপোকার আধিপত্য। আবার কোনোটির জীর্ণ-শীর্ণ প্রেসবক্স ও কমেন্ট্রি বক্স। যা সংস্কারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।

খুব ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে কোনো স্টেডিয়ামই প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্কার করা হয়নি। যদিও সম্প্রতি খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। যা হোক, স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজটি ব্যয়বহুল এবং তা একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় বিসিবির পক্ষে তা করা আক্ষরিকভাবেই অসম্ভব। কেননা বিষয়টি একমাত্র এনএসসির এখতিয়ারভুক্ত।

প্রকৃয়াটি এমন-স্টেডিয়াম সংস্কারে প্রথমে এনএসসিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ নিতে হয়। টাকার পরিমান কম হলেতো কথাই নেই। সংস্কারের ফান্ড থেকেই তারা দিয়ে দিতে পারে। আর যদি বেশি হয়,সেক্ষেত্রে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তাদেরর অনুমোদন পেলে পরে দরপত্র আহবান করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই কাজগুলো করতেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যত অনীহা। তাদের দীর্ঘসূত্রিতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এতদিনেও দেশের স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিসিবিতে নতুন স্টেডিয়াম পূর্বাচলের নির্মাণ প্রসঙ্গে উঠে আসে পুরোনো স্টেডিয়ামগুলোর কথা। যেখানে বিসিবি আবারো তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে এবং সেগুলো সংস্কারে তারা যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে তাকিয়ে সেটা বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের বক্তব্যে স্পষ্ট, ‘যে স্টেডিয়ামগুলো আছে এখন, আমরা যেগুলো ব্যবহার করছি, চিটাগং, খুলনা। খুলনার অবস্থা বাজে। এগুলো সংস্কারের প্রয়োজন আছে, যা এনএসি জানে। আমরা খালি লিজ নিয়েছি। তারা বোধহয় খুব দ্রুত এইসব ঠিক করার পরিকল্পনা করছে। তারা খুব দ্রুত একটা টেন্ডার প্রকৃয়ায় যাবে। এই যে সিটের কথা বলছেন, প্রেস বক্সের কথা বলছেন, তারা বলেছে এগুলোর ব্যবস্থা করবে।’

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন