বিজ্ঞাপন

ফ্রান্স কেন দ্রুত নেভাতে পারেনি ক্যাথেড্রালের আগুন?

April 16, 2019 | 4:27 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্যারিসের ঐতিহাসিক নটর-ডেম ক্যাথেড্রাল তৈরি করা হয়েছে দু’শ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার আগুনেই পুড়ে গেছে নান্দনিক এই ক্যাথেড্রালের একাংশ। আগুন লাগার পর ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশ কেন দ্রুত আগুন নেভাতে পারলো না সে প্রশ্ন জাগতে পারে অনেকের মনে!

বিজ্ঞাপন

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগুন লাগার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। ভবনটির ছাদের কাঠমো কাঠের হওয়ায় আগুন ছড়িয়েছে অনেক দ্রুত। ক্যাথেড্রালের বাইরের পাথরের কাঠামো থাকায় প্যারিসের অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা নিজেদের সুবিধে মতো কাজ করতে সক্ষম হননি। আর অনেক পুরনো স্থাপত্য হওয়ায় সেখানে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকাটাও অবান্তর।

এদিন আগুন নেভাতে কাজ করেছেন অন্তত চার শ ফায়ার ফাইটার। পানি নিয়ে আসা হয়েছে সিন নদী থেকে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।

ভবনের কাঠের নির্মিত কাঠামোর কথা উল্লেখ করে গ্রেন করবেট নামে এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জানান, এটা নিশ্চিত যা ঘটার তা ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটে গেছে। এছাড়া, বাইরের পাথরের শক্ত কাঠামোর ভিতরে ধোঁয়া জমে যায়। ফায়ার সার্ভিস তাদের নিজেদের সুবিধে মতো কিছু করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলে, প্রচুর ধোঁয়া আকাশে উড়তে থাকায় নেওয়া যায়নি হেলিকপ্টার অথবা বিমান ব্যবহারের ঝুঁকি। এছাড়া ওপর থেকে পানি ফেললে যদি তা ভুল নিশানায় পড়তো তাহলে ক্যাথেড্রালের অন্যান্য অংশও ক্ষতির শিকার হতো।

সুতরাং উন্নত দেশ হলেও দ্রুত আগুন নেভাতে না পারার জন্য ফ্রান্সের অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের দোষারুপ করা যায় না। বরং তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করতে হয়।

নটর-ডেম ক্যাথেড্রালে অগ্নিকাণ্ড বা রাজনৈতিক কারণে এটির ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ১৬শ শতাব্দীতে ফ্রান্সে কিছু প্রোটেস্টেনরা এটির ক্ষতিসাধন করেছিল। এছাড়া, ক্যাথেড্রালটি রোষের কবলে পড়ে ফরাসি বিপ্লবের সময়ও। ১৭৮৬ সালে বড় ধরনের দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নটর-ডেম ক্যাথেড্রাল। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোনোভাবি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এটি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায়, ১২৭ মিটার দৈর্ঘ্য, ৪০ মিটার প্রস্থ এবং ৩৩ মিটার ছাদের উচ্চতার নটর-ডেম ক্যাথেড্রাল। আগুনে ক্যাথেড্রালের অনেক শিল্প-সামগ্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি ভেঙে গেছে দুটি সুউচ্চ চূড়া। ধারণা করা হয় নির্মাণ সামগ্রী থেকে আগুনের সূত্রপাত।

সারাবাংলা/এনএইচ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন